জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন: তৃতীয় ধাপের অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরে প্রার্থী ও সমর্থকরা আচরনবিধি লঙ্গণ করলেও চুপচাপ রয়েছে নির্বাচন কমিশন। টান টান উত্তেজনায় প্রচারণা শেষ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রার্থীদের। এতে করে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক প্রার্থী। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার প্রতীকের পক্ষে মোটর সাইকেল মহড়া করেছে জেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে এ শোডাউন করা হয়। এছাড়া দালাল বাজারে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। একই অবস্থা অন্যান্য উপজেলাতেও। আচরনবিধি লঙ্গণ করে রামগতি উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে আলেকজান্ডার বাজারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে বহু প্রার্থীর পোষ্টার লাগাতে দেখা গেছে। এদিকে এক প্রার্থীর এক সঙ্গে একাধিক প্রচারণা মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শেষ প্রচারণার দিন সদরে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ ও দোয়াত কলম প্রতীকের এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে পালকী প্রতীকের ৬-৭টি প্রচারণা মাইক (সিএনজি) চলতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতি টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। সহিংসতার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ।
নির্বাচন কমিশনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৯ এর ১৩ ধারার ‘ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোন প্রকারের মিছিল বাহির করিতে পারিবে না কিংবা কোনরূপ শোডাউন করিতে পারিবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার ৫টি উপজেলায় ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। তারা মাঠে কাজ করছেন। এখনো পর্যন্ত কাউকে জরিমানা কিংবা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কোন খবর জানা নেই বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :