মোহাম্মদ মাসুদ : নীলফামারি সৈয়দপুর উপজেলার সোনাখলী গ্রামে বিচরণস্থল, খাবার ও নিরাপত্তার অভাবে বিলুপ্তির পথে বিপন্ন সারস প্রজাতির শামুকখোল পাখি। পাখিগুলোর পরিচর্যা করে থাকে গ্রামবাসী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধনের সদস্যরা। বৈশাখী টিভি
শামুকখোল মূলত বড় আকারের জলজ পাখি। পৃথিবীতে ২ প্রজাতির শামুকখোল রয়েছে। উপজেলার সোনাখলী গ্রামে বটপাকর গাছে বাসা বেধে থাকে শতাধিক শামুকখোল। বন্যপ্রাণী আইনে সংরক্ষিত হলেও বিচরণক্ষেতত্র, খাবার ও নিরাপত্তার অভাবে শামুকখোল পাখি কমছে।
স্থানীয়রা জানান, আমরা গ্রামবাসী সকলে পাখিগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। এদিকে পাখিগুলোকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে লাঞ্চিত হচ্ছে তারা। মিথ্য মামলার আসামী করা হচ্ছে অনেককে। সৈয়দপুরকে শামুকখোল পাখির অভয়াআশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম গোলাম কিবরিয়া বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় যেনো না ঘটে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সচেষ্ট আছে।
নীলফামারি জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন জানান, তাদের সুরক্ষা অব্যাহত থাকবে। আগামী শীত মৌসুমেও সকল পাখির জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করে নীলফামারিতে তাদের পরিবেশ দেয়ার চেষ্টা করবো। শামুকখোল ছাড়াও সৈয়দপুরে বিভিন্ন পল্লী এলাকায় কাক ও বাদুরের অভয়াশ্রম গড়ে তোলার কাজ চলছে। এছাড়া হাট বাজারে পাখি বিক্রিতে নজরদারি করছে জেলা প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :