শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০১৯, ০৩:২৩ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০১৯, ০৩:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সড়কে শাসন-ব্যর্থতা

মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু : ঢাকার মতো মহানগরে যে সুশৃঙ্খল জনপরিবহন ভর্তুকি দিয়ে মূলত অলাভজনক ভিত্তিতে সরকারি বা আধা-সরকারি বড় কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনা করা প্রয়োজনÑএই সত্যটি সরকার কখনও বিবেচনায় নেয়নি। অসংখ্য বেসরকারি মালিকানায় এবং লাইসেন্স-পারমিটের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্নীতির মধ্য দিয়ে এই খাত রাজনৈতিক প্রভাবদুষ্ট মাফিয়ার কবলিত হয়ে রয়েছে বহু দশক ধরে। এই সত্যটিও সরকার স্বীকার করছেন না বা ওই মাফিয়া স্বার্থ বলয় ভাঙতে পারছেন না বলেই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি বহু স্টাডি, প্রতিবেদন, সুপারিশের যথাযথ বাস্তবায়ন মাফিয়া ভ-ুল করে দিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত বলে ছোটখাটো পদক্ষেপ, অভিযানও ব্যর্থ হচ্ছে। পরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা ট্রাফিক কর্তৃপক্ষকে মানতেই চায় না। অবশেষে এখন যে মেট্রোরেল, ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ধরনের আধুনিক অবকাঠামো গড়ে উঠছে তারও পূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে না যদি বাকি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত না হয়।

সাবেক মেয়র আনিসুল হক সঠিকভাবে শনাক্ত করেছিলেন যে, একই রুটে একাধিক কোম্পানি, এমনকি একই কোম্পানির বাসগুলো পরস্পর পাল্লা দিতে গিয়ে মানুষ মারছে, কারণ চালকদের দৈনিক চুক্তি নিয়ে বাস চালাতে হয়। তিনি চারটি কোম্পানিতে সীমিত করার ব্যবস্থা করে এনেছিলেন। এখন নতুন মেয়র ছয়টি কোম্পানির কথা বলছেন। তবে মাফিয়া স্বার্থ গুঁড়িয়ে দিতে না পারলে চারটি, ছয়টি, আটটি কোনো কিছুতেই কিছু হবে না। রোগের মূল কারণ শনাক্ত করে সরকারকে লক্ষ্য স্থির করে দীর্ঘ, মধ্য, স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। ইত্যবৎসরে সড়কে শৃঙ্খলা আরোপের জন্য ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে সম্ভব না হলে সাময়িকভাবে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে।

অথবা মেয়রের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ ফোর্সের কথাও ভাবা যেতে পারে যারা প্রতিটি আইন অমান্যের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করবে। আদায়কৃত জরিমানার একটি অংশ ওই আইন প্রয়োগকারীদের বেতনের অতিরিক্ত প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হবে। নিরাপত্তাহীন সড়কে প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যুজনিত গভীর সংকট বিবেচনায় একজন সাধারণ নাগরিকের ভাবনা হিসেবে কথাগুলো বলা হলো। সিদ্ধান্ত অবশ্যই নেবেন সরকার, বিশেষজ্ঞ জ্ঞানকে শ্রদ্ধা করে। সন্দেহ নেই সড়কে শৃঙ্খলা নির্ভর করবে পরিবহন খাতের মাফিয়াস্বার্থের বিরুদ্ধে সরকার জনস্বার্থের রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিয়ে কতোটা দৃঢ় হতে পারেন তার ওপর। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়