রবিউল আলম : বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল মন্ত্র ঘোষণা হয়েছিলো ২৫ মার্চ রাতে, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে। ঘোষণা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চে, দিনে স্বাধীনতার বার্তা থেকে। ঘোষণাটি পাঠ হয়েছিলো চট্টগ্রাম থেকে। একাধিকবার পাঠ হয়েছে, কে করেছে, কখন করেছে, প্রতিটি ঘোষণার পাঠকের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে হয়তো অনেকেই সত্য স্বীকার করতে চান না, তাই বলে স্বাধীনতার ঘোষণা মিথ্যে হয়ে যাবে না।
একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ৪৭ বছর আগে, সেই ঘোষণা নিয়ে এখনও বিতর্ক কেন? আমার মনে একটি প্রশ্ন বারবার আসে, স্বাধীনতার ঘোষণা কি যে কেউ দিতে পারে? স্বাধীনতার ঘোষণা কি একজন মেজর দিতে পারে অথবা সেনাবাহিনীর প্রধান হলেও কি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারে ? স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে জনগণের প্রতিনিধি হতে হবে, সরকার প্রধান হতে হবে। জনরায় অর্জন করা ছাড়া কি জনগণের পক্ষে একটি জাতির স্বাধীনতা ঘোষণা করা যায়, না কি স্বাধীনতা অর্জন করা যায়?
এই সহজ বিষয়টি সকলেই জানে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে এই বিতর্কটি এখনও রয়ে গেছে। সুদীর্ঘকাল লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস আছে, আছে রক্তের দাগ, সম্ভ্রম হারা মা-বোনের করুণ আর্তনাদ। বাঙ্গালি জাতির নেতৃত্বের হুংকার, আর আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবা না। ড্রামে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেই একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়ে যায় না। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও মনের স্বাধীনতা কোথায় তা আজ খুঁজে পেলাম না। কেন, কি জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক এর কারণ অনুসন্ধান করেও পেলাম না।
আপনার মতামত লিখুন :