মাহফুজুর রহমান
আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনীকে হটাতে আমেরিকা পাকিস্তানের সহযোগিতায় আফগান মুজাহিদ (আল কায়দা) সৃষ্টি করেছিল। সেই আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তান থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করলো তারা। সোভিয়েত আমলের পরাজয়ের গ্লানির প্রতিশোধ নিতে পুতিন সেই আল কায়দা যোদ্ধাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছে, পাকিস্তানকেও বলয়ে নিয়েছেন।
আমেরিকা আফগানিস্তানে নিজেদের মনের মতো সরকার গঠন করে নিজেরাও আফগান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে রাতদিন যুদ্ধ করেই যাচ্ছে, তবু একে একে মুজাহিদদের হাতে চলে যাচ্ছে আফগানিস্তানের বেশির ভাগ এলাকা। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে আমেরিকা আফগানিস্তানে তাই এখন আল কায়দা নেতা দের সাথে আলোচনা করতে চায়, পাকিস্তানকেও কাছে চায়। টানা দুই সপ্তাহ আল কায়দা যোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করেও ফলাফল ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে। অবশ্য এই ক্ষেত্রে পুতিন গুটি পিছন থেকে চাল দিলেও সামনে আসেননি।
ইয়ামেনের শিয়া যোদ্ধাদের সাথে সৌদি আরবের সামরিক বাহিনী প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে বিশাল সামরিক ক্ষয় ক্ষতির মুখোমুখি হয়। আমেরিকা ও সৌদি সমর্থিত যোদ্ধারা শিয়া যোদ্ধাদের কাছে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ইয়ামেনেও নানান দেশ থেকে আল কায়দা সদস্যদের কুড়িয়ে সামরিকভাবে সমৃদ্ধ করছে শিয়া যোদ্ধাদের বিপক্ষে লড়াই করতে।
আর এদিকে সিরিয়া ও ইরাকে আই এস যোদ্ধারা পরাজিত হলে আমেরিকার আশ্রয়ে থাকে, এখন নাকি আমেরিকা সেই আই এস যোদ্ধাদের আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দিচ্ছে, আর তালেবান যোদ্ধাদের সাথে ব্যর্থ আলোচনা করছে। মনে রাখতে হবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কথা, ইউরোপ তাদেরকে বাংলাদেশে জমা করলেও খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সেই আল কায়দাকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে ট্রান্সফার করতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :