সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
ঢাকা শহরের সব জায়গায় জেব্রা ক্রসিং নাই.. থাকলেও সব পথচারী ব্যবহার করেন না.. আর জেব্রা ক্রসিং-এর তাৎপর্য বোঝে না বাস-ট্রাক চালকরা.. তারা তাদের নেতার নির্দেশ মত ‘গরু-ছাগল’ চিনে। ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডার পাস যা আছে সবগুলো ব্যবহার উপযোগী না.. বয়স্ক, অসুস্থ, শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের জন্য কোনো ভাবনা নাই সড়ক পরিকল্পনায়। অনেক কিছু করার আশ্বাস দিয়ে কিছু না করলে মানুষ হতাশ হয়...সিস্টেমের ওপর আস্থা হারিয়ে নিজেই সিস্টেম বানিয়ে নেয়। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে সততার সাথে না এগোলে সড়কাতঙ্ক আমাদের পিছু ছাড়বে না। দুই মেয়র, পুলিশ ও বিআরটিএ খুব জলদি যে কাজগুলো করতে পারেনÑ
১. বাসের টার্গেট ট্রিপ বন্ধ করা, এতে রেষারেষি বন্ধ হবে। ২. ফুটপাথ শুধু পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা। ৩. যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়ালেই সেই গাড়ির চালক ও হেল্পারকে পাবলিকের সামনে বেদম পিটুনি দেয়া। ৪. বাস বে করা, প্রয়োজনে স্থাপনা ভেঙে হলেও। ৫. জেব্রা ক্রসিংয়ের মার্ক বাড়ানো, বয়স্ক, অসুস্থ, শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষজন যাতে পার হতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া। ৬, ডিজিটাল রাডার সিস্টেম করা, বেশি স্পীড হলেই যেন ধরা খায়। ৭. সড়কের বাম লেন সবসময় সচল রাখা।
নির্বাচিত মন্তব্য : আহমেদ রাজুÑ পরামর্শগুলো ভালো। তবে সব ফুটওভারগুলোই অচল ও ব্যবহার অনুপোযোগী নয়। যেগুলো উপযোগী তাতেও মানুষ ওঠে না। অসুস্থ, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের কথা বাদই দিলাম। যারা তাগরা, তারা কী ওঠে! কিশোর, যুবক ও তরুণ-তারা কী ওঠে! নিখিল ভদ্রের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর আমরা প্রেসক্লাবের সামনে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের দাবিতে রাজপথ কাঁপালাম। কিন্তু কতোজন সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ ওই ফুটওভারে ওঠেন? আমি প্রায়ই দেখি তাতে ছিন্নমূল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। আসল কথা হচ্ছে আমরা সচেতন নই। আমরা (আমি নিজেও) বড় বড় কথা বলি কিন্তু আইন ও নিয়ম মানতে চাই না। সবকিছু সহজ ও শর্টকাটে করতে চাই। সমস্যাটা এখানেই। কেবল চালককে পেটালেই হবে না, যারা চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে হাত তুলে দৌড় দেয়, পথচারী সেতু থাকা সত্ত্বেও, যেসব সক্ষম মানুষ নিচ দিয়ে রাস্তা পার হয়, কাঁটা তাঁরের ভেতর দিয়েই যারা মাথা ঢুকিয়ে দেয়, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করে রাস্তার উঁচু ডিভাইডারে উঠে লাফ দেয়, তাদেরও পেটাতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে পথচারী নির্দেশিকা অমান্য করলেই ৩/৪ দিন হাজতবাস কিংবা ১০/১৫ দিনের কারাদ- দিতে হবে! আইন মানতে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে অল্পসময়েই ঠিক হয়ে যাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :