শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৩৭ রাত
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুর আঙুল কর্তনকারী যুবলীগ নেতা কারাগারে

নুর উদ্দিন : ২) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ফসল রক্ষা বাধের উপর ওঠার অপরাধে কাঁচি দিয়ে শিশুর চারটি আঙুল কেটে দেয়া যুবলীগ নেতাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল অদুদকে আদালতে নেয়া হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

৩) গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা আবদুল অদুদ দক্ষিণ শ্রীপুরপুর ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামের জমির আলীর ছেলে ও দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। ঘটনার পর পরই অদুদ গা ঢাকা দেয়। গত বুধবার সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে তাহিরপুর থানার এস আই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অনেক চেষ্টায় প্রায় এক বছর পর সোলেমানপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

৪) তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, শিশু ইয়ামিনের পিতা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ ঘটনার মূলহোতা অদুদ মিয়া ও তার সহোদর আলম মিয়াকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা করে। পরে অদুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের হাওরের ময়নাখালি বেড়িবাঁধে সোলেমানপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন সহ কয়েকজন মিলে নির্মাণাধীন ফসল রক্ষা বাঁধের উপর খেলা করছিল। খেলা করার অপরাধে তাকে ধাওয়া করে ধরে মাটিতে কয়েকবার আছাড় মারে। তার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও মন গলেনি। এর পর কাঁচি দিয় শিশু ইয়ামিনের ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে দেয় যুবলীগ নেতা ও তখনকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি অদুদ। স্থানীয়রা শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও অবস্থার অবনতি ও আঙুলে পচন ধরায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর দিন ২০১৮ সালের ২০ মার্চ শিশু ইয়ামিনের পিতা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার মূলহোতা অদুদ মিয়া ও তার সহোদর আলম মিয়াকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা করেন। এই বিষয়টি নিয়ে তৎকালিন সময়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে জেলা উপজেলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়