মো. আল-আমিন মাসুদ: (২) ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মাচের্র একুশতম দিন সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে পঞ্চম দফা বৈঠকে মিলিত হন। এসময় তার সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ। তার পূর্বে বঙ্গবন্ধু নিজ বাসভবনে বিশিষ্ট আইনজীবী এ.কে.ব্রোহির সাথে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মিলিত হন।
(৩) অন্য দিকে চট্টগ্রামে ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক বিশাল জনসভায় বলেন, আলোচনায় ফল হবে না। এদেশের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে চাপরাশি পর্যন্ত যখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে মানেনা, তখন শাসন ক্ষমতা শেখ মুজিবের হাতে দেয়া উচিত।
(৪) পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো ঐদিন বিকেলে সদলবলে করাচী থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যায় পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো কড়া সেনা প্রহরায় প্রেসিডেন্টের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন।
(৫) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে হোটেলে ফিরেই ভুট্টো তাঁর উপদেষ্টাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এর আগে হোটেল লাউঞ্জে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের ভুট্টো বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি এটুকু বলতে পারি যে, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। ’
(৬) এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করে। মগবাজারে মহিলা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মহিলা সমাবেশে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে একটি প্যারা-মিলিটারি ট্রুপ গঠনের আহ্বান জানানো হয়। তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
আপনার মতামত লিখুন :