আল-আমিন মাসুদ: (২) বাস চাপায় বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার নিহত হওয়ার পর তার সহপাঠিরা দুদিন ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে। সেখানে তাদের একটাই প্রশ্ন ছিল। এর আগে শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে বিভিন্ন আশ্বাস দেয়া হলেও, এখনো কেন সড়কে বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা থামছে না। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন জানান তারা আর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সহপাঠির লাশ বহন করতে চায় না।
(৩) ঢাকাসহ সারা দেশের সড়কের যোগাযোগ নির্ভরশীল বেসরকারি খাতের বাসের উপর। আর এই বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থার অনিয়ম নিয়েই সকলের সব অভিযোগ। বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে গত বছর সড়কে পাঁচ হাজারেরও বেশী দুর্ঘটনা ঘটে। যার বেশীর ভাগই বাসের কারণে ঘটেছে। কিন্তু রাস্তায় বাস চলাচলে শৃঙ্খলার উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিবিসি
(৪) বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, ২০১৫ সালে পরিবহন খাতের সমস্যাগুলো ও সমাধানের উপায়গুলো চিহ্নিত করা হলেও র্কাযকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যার ফলে সমস্যাগুলো এখনো রয়ে গেছে। বাসের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ চালকই দায়ী।
(৫) এদিকে অভিযোগ রয়েছে, ঢাকায় ট্রাফিক সপ্তাহে প্রতিদিন হাজার হাজার মামলা হচ্ছে যার বেশীর ভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে। বাস চলাচলে নানা অভিযোগ থাকলেও সেদিকে তেমন নজর নেই।
(৭) এ অভিযোগগুলোর বিষয়ে একমত নন ঢাকার পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে যেগুলো আমরা এখনো দৃশ্যমান করতে পারিনি। আমাদের কিছু অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেমন বাস স্টপেজগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি সেখানে যাত্রী ছাউনি, রোড মার্কিং,বাস ওয়ে সহ নানা কিছু করা দরকার। চুক্তিভিত্তিক গাড়ী চালানোও বন্ধ করা দরকার। এসব নানাবিধ কারণে আমাদের কাজের আশানুরূপ ফল দেখা যাচ্ছে না। কিছু সমন্বয় হলে আমাদের কাজগুলো দৃশ্যমান হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়গুলোর সমন্বয় করা হচ্ছে।
(৮) অন্যদিকে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেন বাস মালিকদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারনেই তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না। সরকারে একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য রাজনৈতিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :