ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিভি রুমের ছাদ ধ্বসে ৩৯জন নিহত হয়েছিলো। তখন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সেদিন সেই দুঃসময়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম, হতাহতের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা বোধহয় আবার সেরকম একটা ট্রাজেডির জন্য আজকাল অপেক্ষা করছি। নীচের ছবিটা ভালো করে লক্ষ্য করুন। এটা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন বিল্ডিংয়ের ৩০৬ নং রুম। সৌভাগ্যক্রমে গতরাতে (১৮ মার্চ) এই বেডে কেউ ছিলো না (পাশের বেডে শুয়েছিলো)। থাকলে আজকের (১৯ মার্চ) খবরের কাগজের এক কোণে নিউজ হয়ে যেতে হতো। এবার একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন একদম মাথা রাখার বালিশের ওপর কতো বড়ো পলেস্তারা খসে পড়েছে!
এর আগেও ফেসবুকে অনেকবার দেখেছি, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী হল এবং শহীদ ডা. মিলন ইন্টার্নি চিকিৎসক হোস্টেলের ভবনগুলোর অবস্থা মাজুল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরোনো এই ভবনগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন আরেকটি জগন্নাথ হল ট্রাজেডির অপেক্ষা মাত্র। না, এই নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। কারো দৃষ্টি আকর্ষণও করছি না। কর্তৃপক্ষ যখন কুম্ভকর্ণ এবং গ-ারের পূজারী হয়, তখন তাদের বিরক্ত না করাই উত্তম।
কিছু মেডিকেল ছাত্র বা ডাক্তারের জীবন অকালে ঝরে গেলে কার কী আসে যায়? বরং আকাশে আজ দারুণ পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। আসেন, জোছনায় বুঁদ হয়ে ডুবে থাকি। চিকিৎসক ও কলামিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :