মাহফুজ নান্টু: মানবিক কাজের স্বীকৃতি পেলেন পুলিশ সুপার বর্তমানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন) এর দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্স (এ্যাডমিন এ্যান্ড ডিসিপ্লিন) হাবিবুর রহমান বিপিএম,পিপিএম সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ভালো কাজের স্বীকৃতি পাওয়ার অনুভূতি ব্যাখ্যা করে বলেন, স্যার যখন ডিএমপি'র ডিসি (হেডকোয়ার্টার্স) তখন আমি স্যারের অধীনে ডিএমপি'র এসি (ফোর্স) হিসেবে কাজ করেছি। বলা যায় সেই সময় থেকেই স্যারকে অনুসরণ করা। তখন স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের খাবারের মেস সমূহে কর্মরত বয়দের (মেসবয়) পাঠদানের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় শতদল শিক্ষালয়। সুবিধাবঞ্চিত, এতিম, অসহায়, গরীব শিশুদের জন্য মৌলিক অধিকার-অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা হয়।
স্যারের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সেই সময়ে আমি ওদের জন্য কাজ করি । ওদের মধ্যে অনেকেই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। আবার অনেকে শিক্ষার্থী পুলিশে চাকরী করছে।
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন আরো জানান, সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কিছু করার মহৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে ৯ বছর আগে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি আজ নয় বছর ধরে আলো ছাড়িয়ে যাচ্ছে আজ সৌভাগ্যক্রমে সেই প্রতিষ্ঠানে সেই শিক্ষাঙ্গনের বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছি আর স্যারের হাত থেকে পেলাম আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে এসে পেয়েছি বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন অনেক গুণীজন অগ্রজ স্যারদের আশীর্বাদ।
তবে কুমিল্লাতে যোগদানের পর গত চার বছরেও এমন অনেক মানবিক কাজের সাথে জড়িত। যার কারনে কুমিল্লার সর্বমহলে তিনি ব্যাপক সমাদৃত পুলিশ কর্মকর্তা সুপরিচিত হয়ে আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :