রাসেল হোসেন, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে নির্মাণের ৬ বছরেও উদ্বোধন হয়নি অর্থোপেডিক হাসপাতাল, ট্রমা সেন্টার। দেশের দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অন্যতম। প্রায়ই এ সড়কে দুর্ঘটনায় ঘটে প্রাণহানি, গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে। এসব রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যেই ৬ বছর আগে ধামরাইয়ের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে নির্মাণ করা হয় ২০ শয্যার অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল, ট্রমা সেন্টার। সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় হাসপাতালটি। তবে দীর্ঘদিনেও এটি চালু না হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। তবে জনবল নিয়োগ জটিলতায় এখনো চালু করা যায়নি হাসপাতালটি। ফলে, বাধ্য হয়েই চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে যেতে হয় বলে জানালেন ভুক্তভোগীরা।
ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে শুধু ধামরাই নয়, আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষও অল্প খরচে আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে বলে আশা স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিচচা) কমিটির দুর্ঘটনা বিষয়ক সম্পাদক রাসেল হোসেন জানান, আমি আর কি বলব আমি নিজেই ইসলামপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মটর সাইকেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। সে সময় একটি ঘাতক ট্রাক আমার পায়ের উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল। সে সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমাকে বলে আপনার পায়ের মনে হয় হাড় ভেঙ্গে গেছে আমাদের এখানে আপনার চিকিৎসা সম্ভব নয় আপনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চলে যান এবং তারা আমাকে সেখানে রেফার করে ছেড়ে দেন। আমার নিজের কথা বললাম এই কারনে যদি আমাদের এখানে ট্রমা সেন্টারটা চালু থাকত তাহলে আমাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করত না। তাই শুধু আমার নয় এটা সারা ধামরাই উপজেলার মানুষের দাবী এই ট্রমা সেন্টার যেন অতি দ্রুত চালু করা হয়।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, আমি ট্রমা সেন্টার চালুর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। আমাদের প্রতি মাসের মার্সিক মিটিংয়ে ট্রমা সেন্টার চালু করার বিষয়ে আলোচনা করি। আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করেছি তিনি আমাদের আসস্থ্য করেছে খুব দ্রুত এই ট্রমা সেন্টার চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে চালু করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :