শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বর্ণবাদ, সহিংসতা ও কট্টরপন্থার সময়ে বিশ্বকে মানবতা ও সহনশীলতার বার্তা দেয়া নেত্রী জ্যাসিন্দা

লিহান লিমা: ২) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে হামলার পর কালো ওড়না জড়ানো অবস্থায় শোকাগ্রস্ত একটি মুখের ছবি বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নজর কাড়ল। অশ্রুসিক্ত চোখের এই ব্যক্তিটি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্দা আর্ডেন। যেন খুব কাছের কাউকে হারানো বিপর্যস্ত একটি হৃদয়, প্রতিনিধিত্ব করছেন মানবতা ও সহনশীলতার। মিরর, সিএনএন, আনাদুলু এজেন্সি, ইয়ুথ ম্যাগাজিন, গালফ নিউজ, ওয়েব

৩) ব্রেক্সিট, ইয়ালো ভেস্ট, ডানপন্থা, বর্ণবাদ, সহিংসতা, ঘৃণা, হতাশা, বিদ্বেষ, শীতল যুদ্ধ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, সাইবার হামলা ও শরণার্থী সমস্যা প্রত্যাশার মাত্রায় লাগাম টেনে দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লন্ডন, প্যারিসসহ বিশ্বের অন্যতম শহরগুলোতে একের পর ছুরি হামলা, আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণ, বন্দুকধারীর অতর্কিত হামলা মানুষের নিরাপত্তাকে করে তুলেছে অসহায়, নিউইয়র্ক হোক কিংবা কাবুল, জীবন যেন কোথাও নিরাপদ নয়।

৪) সন্ত্রাসবাদ, বর্ণবাদ, চরমপন্থা ও কট্টরপন্থার এই উত্থানে ঘি ঢেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জিয়ার বোলসানারো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী মেতসুজ মোরাউইকি। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, ইতালি, সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রাধান্য বিস্তার করছে কট্টরপন্থা।

৫) ডানপন্থী নেতাদের মুখে অভিবাসন ও মুসলিমবিরোধী একের পর এক মন্তব্যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল ক্রাইস্টচার্চ হামলাকে জোরালোভাবে সন্ত্রাসী হামলা বলা হবে কি না। হামলার পরও পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এই হামলাকে শুধুমাত্র বন্দুকধারী হামলা বলেই চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে সব দ্বিধাকে পেছনে ফেলে সংবাদ সম্মেলনে আর্ডেন স্পষ্ট বললেন, এটি সন্ত্রাসবাদ। শপথ নিলেন সন্ত্রাসীর নাম উচ্চারণ না করার। কঠিন জেনেও পরিবর্তন করার ঘোষণা দিলেন অস্ত্র আইনের। বললেন, যে কোন ধরনের কট্টরপন্থাই গ্রহণযোগ্য নয়। ট্রাম্পকে সরাসরি বলেছেন, নিউজিল্যান্ডকে সাহায্য করতে হলে মুসলিমদের ভালবাসুন।

৬) আর্ডেনের ভূমিকা নিয়ে মার্টিন লুথার কিংয়ের কন্যা বার্নিস কিং টুইটে বলেন, ‘আর্ডেন আন্তরিকতা, জনমানুষের নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, বর্তমান বিশ্বের এমনই একজন নেত্রী প্রয়োজন।’ নিউইয়র্ক সিটির মুসলিম সম্প্রদায়ের সংগঠক ফয়েজ আলি বলেন, ‘আর্ডেন অনুসরণীয় নেতা। তার চেহারা বলে দিচ্ছিল এই বেদনা তিনি কখনোই ভুলবেন না।’ ইরানী-আমেরিকান সাংবাদিক নাগার মোর্তাজাভি বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় হিজাব পরে তিনি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। কালোদের অধিকার বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ক্রাইসিস ম্যাগজিন’ আর্ডেনের একটি ছবির নিচে বলে ‘ মর্যাদা, মাধুর্য ও সাহস ‘সত্যিকারের নেতা এমনই হন’।

৭) হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া আহমেদ খান বলেন, ‘হিজাব পরা আর্ডেনকে দেখে মানুষ বিস্মিত হয়েছিলো। তাদের মুখে ফুটে ওঠে কৃতজ্ঞতার হাসি। সিরিয়ার আলি আখিল বলেন, ‘এর অর্থ আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি যাই বিশ্বাস করুন না কেন, সাহায্যের জন্য আমি আপনার পাশে আছি।’ হামলার পর আর্ডেন বলেন, আমরা ২০০টি জাতির ও ১৬০টি ভাষার লোকের দেশ। শুক্রবার যে এই সন্ত্রাসবাদ চালিয়েছে, ঘৃণা ও আতঙ্ক ছাড়িয়েছে সে ব্যতিত অন্য সকলের জন্য আমাদের দরজা উন্মুক্ত।

৮) ২০১৭ সালের অক্টোবরে বামপন্থী লেবার পার্টির নেতা আর্ডেন পপুলিস্ট ও অভিবাসনবিরোধী নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টিকে নিয়ে জোট বাঁধেন। আর্ডেন লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেয়ার আগে দলের সমর্থন ছিলো মাত্র ২৫ ভাগ, জ্যাকিন্দাম্যানিয়ায় সেটি হয়ে যায় ৪০ভাগে। সিএনএন জানায়, আর্ডেন পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের চেয়ে অভিবাসী ইস্যুতে পুরোপুরিই ব্যতিক্রম। অস্ট্রেলিয়ার কঠোর অভিবাসন নীতির শিকার নাউরু ও মানুস আইসল্যান্ডের বাসিন্দাদের গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি, যদিও তা প্রত্যাখ্যাত হয়। গাঁজা বৈধকরণ ও সমকামী অধিকারের পক্ষে তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়