শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০১৯, ০৬:০১ সকাল
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০১৯, ০৬:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে যা করতে চান ডাকসু নেতারা

বাংলা ট্রিবিউন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর নবনির্বাচিত নেতারা দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের ইশতেহারে থাকা বিষয়গুলো প্রথমে বাস্তবায়ন করতে চান। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারা যেসব সমস্যার সমাধান করতে চান সেগুলো হলো- সিট বরাদ্দে রাজনৈতিক প্রভাব ও গণরুমের নামে রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ করা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারেও আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এমনকি অতীতের ঐতিহ্য বজায় রেখে দেশ ও জাতির যে কোনও সংকটে ডাকসু আগের মতোই ভূমিকা পালন করবে বলেও জানিয়েছেন নতুন নেতারা।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী প্রার্থীদের হেয় করার প্রবণতা দেখা গেছে উল্লেখ করে তারা বলছেন, সব নারী যেন ক্যাম্পাসে নিরাপদ থাকতে পারে সেজন্য ডাকসুর পক্ষ থেকে কাজ করা হবে।

ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতারা আরও জানিয়েছেন- শুধু বিজয়ী দলের না, সব ইশতেহার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প হিসেবে বিন্যাস করা হবে।

এ ব্যাপারে ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির বিনিময়ে হলে সিট দেওয়ার যে অপরাজনীতি, তা বন্ধ করা আমাদের প্রথম কাজ হবে। এছাড়া গণরুম-গেস্টরুমের নামে যে রাজনৈতিক নিপীড়ন করা হয়, তা বন্ধ করা এবং লেখাপড়ার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।’ দায়িত্ব গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।’

ডাকসুর কর্মকাণ্ড কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে ডাকসুকে সামাজিক সংস্কৃতিক সংগঠন বলা আছে। তবে সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি কোনোটা কোনোটার বাইরে না। সেই জায়গা থেকে ডাকসু রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সবসময় এদেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। যখন ডাকসু কার্যকর ছিল, সেটা ডাকসুর নেতৃত্বে হয়েছে। সেই জায়গা থেকে সামনে কোনও সংকট দেখা দিলে ডাকসু পূর্বের মতোই ভূমিকা পালন করবে।’

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নূর আরও বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনোভাব বুঝে তবেই তিনি দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে ইশতেহার অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করার কথা জানিয়েছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো টার্গেট। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবীমা করা। অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাবীমা চালুর চেষ্টা করবো।’

আবাসন নিয়ে সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে রাব্বানী আরও বলেন, ‘ফাও খাওয়া একদম বন্ধ।’ এছাড়া ক্যাম্পাসে রিকশার জন্য পৃথক লেন তৈরি ও ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্দিষ্ট দূরত্ব বিবেচনা করে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করার কথাও বলেছেন তিনি।

আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দর কষাকষি করতে চান ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাইবো সিনেটে আইন পরিবর্তন করতে, যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়। বিশেষ করে সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, সাত কলেজের অধিভুক্তি ও অযৌক্তিক বর্ধিত ফি যেন বাতিল করা হয়; সেসব বিষয়ে ডাকসুর সভাপতি মাননীয় উপাচার্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। আমরা চাই, ক্যাম্পাস ডেমোক্রেসি বলে একটা জিনিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হোক। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারেন, সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনে আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি- নারী শিক্ষার্থী যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোথাও আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা চাইবো, একজন নারীকে যেন মানুষ হিসেবে দেখা হয়, প্রার্থী হলে প্রার্থী হিসেবে যেন দেখা হয়। যে সংগঠনই করুক না কেন, সব নারীকে যেন ক্যাম্পাসে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয়; এই অবস্থার উন্নয়নে আমরা কাজ করবো।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথম কার্যকরী সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ মার্চ। সোমবার (১৮ মার্চ) অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়