সৌরভ নূর : ডাকসু ভিপি হিসেবে জয়ী নুরুল হক তো ছাত্রলীগের ব্যানারে নির্বাচন করেননি। এছাড়া কেন্দ্রীয় সংসদসহ হল সংসদে অনেকেই ভিন্নদল ও স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ওভারঅল কিছু ভুল-ত্রুটি ঘটতেই পারে তবে কোনো নির্বাচনই শতভাগ সহি-শুদ্ধ হয় না। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল বানচালের মতো এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে আবার পুনর্নির্বাচন দিতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তি রক্ষার্থে নির্বাচনের এই ফলাফল মেনে নেয়া উচিত। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য আব্দুস সোবাহান ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।
আলাপকালে তিনি বলেন, নুরুল হক প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে গণভবনে গেলেন আবার ফিরে এসে পুনর্নির্বাচন দাবি করছেন। আসলে নূরের দেয়া বক্তব্য কিংবা সিদ্ধান্ত অনড় থাকছে না। ফলে আন্দোলনে ক্রমেই ফাটল ধরছে। আবার এটাও দেখা যায় বাংলাদেশে যে কোনো আন্দোলনে বরাবরই তৃতীয় কোনো পক্ষ সুযোগ নিতে চাই এবং আন্দোলনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতে চাই। সে কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উত্তপ্ত করলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা শুভকর হবে না। ছাত্ররা আমাদের সন্তানতুল্য সে কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিবাদ মিটিয়ে নুরুল হক ও ছাত্রলীগকে একসাথে কাজ করার পরামশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে পুনর্নির্বাচনের কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না।
তিনি আরো বলেন, রাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আরো দুই মাস আগেই ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে। আমরা চাই ছাত্রদের রাজনীতি ছাত্রসংগঠনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাক।
আপনার মতামত লিখুন :