সাজিয়া আক্তার :২) ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গিকার সরকারের। তবে সবচেয়ে বেশি তামাক চাষ যেখানে সেই কুষ্টিয়া জেলায় বাড়ছে ক্ষতিকর এই ফসলের আবাদ। তামাক চাষের কারণে এই এলাকায় তামাক কোম্পানির নানা ধরনের প্রণোদনা বাড়ছে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা। এটিএন নিউজ
৩) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, মিরপুর কিংবা ভেড়ামারায় মাঠের পর চাষ হচ্ছে তামাকের। এক সময় এই ক্ষেতগুলেপাতেই আবাদ হতো ধান, গম, আলু কিংবা সরিষার চাষ হতো। এখন তামাক চাষ শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকিই নয় বরং বিষ চাষে হৃাস পাচ্ছে জমির উর্বরতাও।
৪টি উপজেলার ৭৫ভাগ জমিএই এখন তামাকের দখলে। চলতি বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের উৎপাদনের লক্ষমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে মাত্র ১০ হাজার হেক্টর। আর তামাক চাষ হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে।
৪) পরিসংখ্যান বলছে দেশে প্রতিবছর গড়ে ৪০ হাজার হেক্টর তামাকের আবাদ হয়। এর ৩ ভাগের এক ভাগই হয় কুষ্টিয়া জেলায়।
৫) কুষ্টিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার বলেছেন, যে জমিতে তামাক চাষ করা হয় সেই জমিতে যদি অন্য কোনো ফসল উৎপাদন করি এবং সেই ফসলের মূল বা বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারি তাহলে তামাক চাষ অতি দ্রুতই বন্ধ হয়ে যাবে।
তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সরকারিভাবে নানা প্রচারণা থাকলেও তামাক চাষে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :