সাজিয়া আক্তার : ২) একাত্তরের ১৯শে মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হন তিনজন। মহান মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বলতম এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের আহ্বান শহীদ পরিবারের সদস্যদের। ডিবিসি টিভি
৩) ১৯৭১ সালের ১৯শে মার্চ টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রাস্তায় ৪৫টি ব্যারিকেড তৈরি করে মুক্তিকামী জনতা। মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হন জয়দেবপুর বাজার বটতলায়। জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে হঠাৎ করেই গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এ সময়, নিহত হন মনু খলিফা ও নিয়ামত। পরে, ব্যারিকেড সরিয়ে চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় হুরমত নামে আরও একজনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে এটিই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। তাই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি শহীদ পরিবার ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
৪) শহীদ নিয়ামতের মা বলেন, আমার সন্তান দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। আমি চাই এর যথাযথ মর্যাদা দেয়া হোক।
৫) ১৯শে মার্চ সংগ্রাম কমিটির ট্রেজারার ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান জানান, সারাদেশ পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও প্রতিবাদ করে। কিন্তু প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করে তুলেছিল জয়দেবপুরের জনগণ।
৬) মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ও ১৯মার্চ সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ঐতিহাসিক কারণেও এই ১৯শে মার্চের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আবশ্যক। সরকার ১৯শে মার্চকে জাতীয়ভাবে পালন করবে বলে আশা করি।
৭) ১৯শে মার্চে নিহতদের শহীদের মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে পাওয়া স্মারকলিপি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আপনার মতামত লিখুন :