মতিনুজ্জামান মিটু : ২. সোমবার(১৮মার্চ) রাজধানীর ন্যাম ভবনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আরো বললেন এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে উৎপাদন আরও বাড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করতে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সহায়তা দিতে চায় ইয়ানমার প্রিন্সিপাল।
৩. স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে পাশে থাকা জাপানের শত বছরের পুরাতন এই প্রতিষ্ঠানটি কৃষি উন্নয়নেও কাজ করতে চায়। কৃষক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য দরকারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ইয়ানমার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারে রিমোর্ট সেন্সিং টেকনোলজি সম্পন্ন পণ্য নিয়ে আসতে চায় ইয়ানমার বলে উল্লেখ করলেন মি. তাকিসি এ্যানডো।
৪. এসময় সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সমস্যাই আমাদের কৃষির বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বললেন যথাযথ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। দেশও বৈদেশিক মূদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে বর্তমান কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো এবং বিনিয়োগের উপযোগি পরিবেশ বিদ্যমান। কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। টেকসই কৃষি উন্নয়ন তথা বিভিন্ন ফসল ও শস্য বহির্ভূত কৃষিখাতের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এখন সময়ের দাবি।
৫. কৃষি মন্ত্রী আরো বললেন কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। কৃষি শ্রমিক শহরমুখী হয়ে অন্য কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। শুধু উন্নত জাত ও সার ব্যবহার করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। ফসল উৎপাদন, ধান কাটা ও কর্তন-পরবর্তী কাজগুলোয় সঠিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় রোধ করে বাংলাদেশের জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। ৬. খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি যন্ত্রায়ণ বর্তমান সরকারের অগ্রগণ্য বিষয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতে সবজি উৎপাদন,মৎস্য চাষ ও পশুপালনেও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :