ইউসুফ আলী বাচ্চু: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক আবুল মকসুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কিশোর বয়স থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি না থাকলে এদেশ কখনো মুক্ত হতো না স্বাধীন হতো না। জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন বাঙ্গালী জাতির মঙ্গলে আন্দোলন-সংগ্রামে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অলাইন এক্টিভেট ফোরামের উদ্যোগে‘আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভেতরে এমন মানবিকতা ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তিনি খাবার আগে তাঁর সঙ্গে যারা থাকতেন তাদের খবর নিতেন। এমন কি গাড়ি চালকদের কে খেয়েছে কে খায়নি সব তদারকি করে তারপর নিজে খেতেন। বঙ্গবন্ধু যদি আন্দোলন-সংগ্রামে না থাকতেন তাহলে এই দেশ কখনোই মুক্তি পেতো না। তাঁর প্রতি কৃতগগতাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর শত বর্ষ পালন করা বাঙ্গালী জাতির অবশ্য কর্তব্য।
সংবিধান প্রণেতা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু মানবিকতার বিষয়টি সবচেয়ে বড় করে দেখতেন। মানবিকতার জন্যও তিনি জেল খেটেছেন। মানবিকতার শক্তি দিয়েই তিনি নেতৃত্ব ধরে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বিদ্যমান ছিল। এই তিনটি গুণ তাঁর মধ্যে ছিল বলেই তিনি রাজনীতিতে বিশাল স্থান পেয়েছিলেন। আপামর মেহেনতী জনতা তাকে সম্মান করতো, শ্রদ্ধা জানাতো, সমীহ করতো। বঙ্গবন্ধু মানুষকে মানবিকতার দৃষ্টি দিয়ে দেখতেন বলেই তিনি দেশে ও বিদেশে এতো জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। মানুষের মন জয় করেই যে কোন ব্যাপাওে সম্মতি দিতেন। বঙ্গবন্ধু ৭০ এর নির্বাচনেও জনগণের মন জয় করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধর জানতেন তাঁর নেতৃত্বের প্রধান উৎস জনগণ। তাই তিনি যে কোন ব্যাপারে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতেন এবং সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারতেন।
বোয়াফের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন। ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী। বোয়াফ সদস্য তুলি হোসেনের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ পাঠ করেন কলাম লেখক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :