আহমেদ জাফর: ২) যোশীয় সাংমা চিবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে স্নাতকোত্তর ছাত্র। ডাকসু নির্বাচনে ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে তিনি ১২ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তবে শারীরিক অক্ষমতার জন্য সব জায়গায় যেতে পারেন না। হুইল চেয়ারে বন্ধুদের সহযোগিতায় হলে হলে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। চিবল ছাড়াও আরো দুই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলো তারা জয়ী হতে পারেনি। জয়ী হওয়ার পর তার প্রধান লক্ষ্য প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ কারা। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনেও পাশে থাকতে চান তিনি।
৩) অন্য প্রার্থীদের মতো চিবলের স্বপ্ন আছে নেতৃত্বে দিয়ে স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ে তুলার। তাই তিনি হলে হলে গিয়ে প্রকিশ্রুতি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে থাকবেন। প্রশাসনের সঙ্গে ক্যান্টিনের খাবার মান বৃদ্ধি, রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা, রাজউকের বিল্ডিং কোড মেনে প্রতিবন্ধীবান্ধব ভবন নির্মাণ, শিক্ষার মানোন্নয়ন, সব শিক্ষার্থীর জন্য আসন নিশ্চিতকরণ, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গেস্টরুম ও গণরুম প্রথা বাতিল, গবেষণায় জোর দেয়া, প্রতিবন্ধীদের জন্য রাস্তায় যাম্প তৈরি, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্লাসরুম সংকট দূরকরণ, বাসরুট বাড়ানো, প্রতিটি হল ও বিভাগে ন্যূনতম একজন করে প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা নিয়োগ নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শ্রম্নতি লেখকের ব্যবস্থা করা, ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান, ব্রেইল প্রকাশে চাপ দেয়াসহ নানা কাজ করবেন।
৪) পুরো ক্যাম্পাসে একটি পরিচিত মুখ চিবল। তিনি হুইল চেয়ারে করে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে চষে বেড়ান। গিটারে সুর তুলে গান শোনান বন্ধুদের। ক্যাম্পাসে তার বন্ধুর অভাব নেই তারা সবাই তাকে (চিবল) উৎসাহ দেন। কেউ না কেউ, কোনো ভাবে তাকে সাহায্য করেন। সবার ভালোবাসা নিয়ে ক্যাম্পাসে সময় পার করেন তিনি।
৫)গত ১১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। কিন্তু নির্বাচনের পরেদিন থেকে পুননির্বাচনের দাবিতে অনল ছাত্রলীগ বাদে সকল প্যানেল।
আপনার মতামত লিখুন :