নূরুল মমিন খান
কিছুদিন আগে যাত্রাবাড়ির একটি ডায়াগনস্টিক কাম হসপিটালে হলিফ্যামিলি হসপিটালের জনৈক কনসালটেন্ট একটি ল্যাপারস্কপিক পিত্তপাথর সার্জারি করেন, সার্জারির পর ১৪ ঘন্টা রোগী সুস্থ্য ছিলেন, এরপর রোগী খারাপ হতে থাকে বিধায় তাকে হলিফ্যামিলি হাসপাতালে রেফার করা হয়, পেট খুলে দেখা যায় ডুওডেনাল পারফোরেশন যা সাধারণত ব্যথার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হয়, এরপর রোগী আইসিইউতে মারা যান।
পুরো ঘটনায় ঈশ্বর ছাড়া কাউকে দায়ী করা যায় না, রোগী হাসপাতালের কারো শত্রæ ছিলো না তা সত্তে¡ও কনসালটেন্ট নিজের পকেটের টাকায় আইসিইউর বিল পরিশোধ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবিক বিবেচনায় রোগীর স্ত্রীকে বেশ কিছু টাকা দিয়ে সন্তুষ্ট করে সব ঝামেলা মুক্ত হন। স্থানীয় মধ্যস্থতাকারী ও লোকাল থানা এ মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাধ সাধেন কিছু সাংবাদিক, তাদের দাবি তারা পয়সা না পেলে খবর মিডিয়াতে প্রচার করবেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবসার ক্ষতি চিন্তা করে বেশ কিছু টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করেন। আমি এ হাসপাতালের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। প্রতি মাসে শতেকের উপর সার্জারি হলেও হাসপাতালের প্রফিট খুব কম, নাই বললেও ভালো হয়, দালালরাই বড় অংশ খেয়ে যায়। সরকারের আধুনিক পলিসির কারণে প্রফিট আরো সংকুচিত। খবর প্রচার হওয়া দরকার কিন্তু সাংবাদিকদের পয়সা না দিলে সত্য মিথ্যা জড়িয়ে এমনভাবে খবরটি প্রচার করা হতো যাতে করে সাধারণ মানুষের মনে সাংঘাতিক নেতিবাচক প্রভাব পড়তো। নিরপেক্ষভাবে সঠিক অবস্থানে থেকে সংবাদ পরিবেশনের দায়িত্ববোধ তৈরি করা সমাজের এগিয়ে চলার জন্য খুবই জরুরি অথচ বাসন্তীর জাল পরা ছবি থেকে হাল আমলের প্রথমালুর পাবলিক মগজ উত্তেজিত করার সাংবাদিকতা চলছেই ধান্দাবাজির উদ্দেশ্য নিয়ে। সাংবাদিক পিটুনির কথা মাঝে সাঝে শুনে ভালোই লাগে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :