শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্দি

ইকবাল আনোয়ার

আ পা সক্রে দুটি লাভ বধার্ড পোষতেন, খাঁচায়। মেয়েটা হলুদ, পুরুষটা নীল। দুটিতে ঠোঁটাঠোঁটিও চলতো, অভিমান এমনকি শক্রতাও। তিনি পিচবোর্ডের একটা বাক্সের মতো বাসা বানিয়ে দিলে মেয়েটা ডিম পাড়ে। এর আগে দু’জন মিলেই মানুষ্য তৈরি বলে নিজেদের সম্ভ্রম বাঁচাতে ঠোঁটে কেটেকুটে বাসার নকশা পাল্টে ফেলে। যেমন, আ পা সক্রে যেটাকে বাসায় ঢোকার পথ সাব্যস্ত করেছিলেন, পক্ষীযুগল তা নাকচ করে দিয়ে থাকা সত্তে¡ও নিজেরা একটা ভিন্ন স্বাধীন পথ করে নেয়। সক্রের এতে হাসিও পায় আবার মর্যাদা রক্ষায় এ কর্ম দেখে এদের প্রতি সম্মানও হয় তার।
যাক, মেয়েটি ডিম পাড়ার পর দু’জনে মিলে ডিমের পরিচর্যার বদলে পুরুষটি ডিমটাকে ঠোকরিয়ে ভেঙে ফেলে দেয়। ভোরে উঠে সক্রে দেখেন, টাইলসে হলুদ বাসি কুসুম ভাঙা তরলে পিঁপড়ারা মজাসে সুর নাড়াচ্ছে। সক্রে সপ্ন ভঙ্গ হবার কষ্ট পান । সক্রে ভাবেন পাখিরা নিয়ন্ত্রণ খাঁচায় থাকলেও তারা স্বাধীন। আর না হলে ডিম ভাঙার কষ্ট পেতে তাকে হতো না। সক্রে যদি স্বাধীন হতেন, তবে ডিম ভাঙতে দিতেন না। সবশেষে নিয়ন্ত্রণ তো থাকতে হবে, এটাই যুক্তি এবং নিশ্চয়ই এ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ঊর্ধ্বলোকে। এরপর পাখি দুটো ঠোঁটাঠোঁটির প্রেম ছেড়ে একত্রে জড়িয়ে ঘুমানোর পরিবর্তে খাঁচার দুই প্রান্তে রাত কাটায়। খাবার নিয়ে ঝগড়া করতে থাকে।
একদিন সক্রের বন্ধু সক্রেকে বলেন, পাখিদের খাঁচায় আটক রেখেছো কেন? তাদের মুক্তি দাও, এরা আকাশ দেখুক। সক্রে বলেন, বন্ধু এরা খাঁচার পাখি, এদের মা বাবা খাঁচায় ছিলো, পূর্বপুরুষরাও, এদের এটাই আকাশ। ছেড়ে দিলে তারা কাক চিলের পেটে যাবে, মুক্তি তাদের জীবন কেড়ে নেবে।
এবার সক্রে অতি দার্শনিক এক উক্তি দেন : আমরাও তো পৃথিবীর কারাগারে, জগৎ কারাগারে বন্দি। আকাশ কী! আমরা তা কেবল ততোটুকু জানি, বন্দি পাখি যা জানে। পৃথিবীতে কেউ ডিভিশনপ্রাপ্ত কেউ ডিভিশন ছাড়া বন্দি। আমরা পূর্বপুরুষ ধরেই বন্দি। জন্মের পূর্বে আমরা হয়তো স্বাধীন ছিলাম, হয়তো না। না-ই বোধ হয়। আত্মা তৈরির পর থেকে আমরা কার্যকরণসূত্রে বন্দি। মৃত্যুতে মুক্তি হতো যদি ‘নাই’ হতাম। আর মৃত্যুর পর পটপরিবর্তন হলে সেখানেও কার্যকরণ সূত্রেই বাধা। তাহলে তুমি বন্ধু, নিজেই কারাগারে যখন, তখন কারাগারে বন্দি পাখির কথা আর বলছো কেন? বন্দির বন্দি স্বাধীন! আমি কি স্বাধীন! হয়তো কিছু, নয়তো নয়! খাঁচায় বন্দি পাখি তো সবাই। শুধু ‘নাই’ ই পূর্ণ স্বাধীন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়