শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৩১ সকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমলগঞ্জে মধু চাষ, বছরে আয় ৫০ লাখ

ডেস্ক রিপোর্ট : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ মধু চাষ করে তাদের আর্থিক অনটন জয় করে এখন সচ্ছল জীবযাপন করছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জালালপুর গ্রামের আজাদ মিয়া মৌমাছির চাকের খোঁজে পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। মৌমাছির চাক (বাসা) পেলেই মৌমাছি তাড়িয়ে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। এক পর্যায়ে তিনি বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। তার সাফল্য দেখে কমলগঞ্জের মধ্যভাগ, শ্রীপুর, কাঁঠালকান্দি, পূর্ব জালালপুর, কোনাগাঁও, নতুনবাজার, আধখানি, কালারাবিলসহ বিভিন্ন গ্রামের ৫ শতাধিক মানুষ মধু চাষে আগ্রহী হন।

২০০৭ সালের দিকে মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ মধু চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন ধাপে ৫০-৬০ চাষি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং পূর্বের তুলনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন তারা মধু চাষ করছেন। বছরে একেকটি বাক্সের মৌমাছির ৩-৪ বার ভেঙে ৩০-৩৫ লিটার মধু সংগ্রহ করে ১৫-১৭ হাজার টাকা আয় করেন। একেকজন চাষির বাড়িতে ৩ থেকে ৭টি বাক্স রয়েছে। একটি বাক্স বসাতে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। এপিস সেরেনা (দাসকুলি) নামের মৌমাছি লালন-পালন করে মধু চাষ করা হয়। উন্নত প্রজাতির আফ্রিকান মিলিপ্যাগ মৌমাছি লালন-পালন করে মধু চাষ করা হলে বছরে কমপক্ষে ৫০-৫৫ লিটার মধু একেকটি বাক্স থেকে উত্তোলন সম্ভব বলে জানান মধ্যভাগ গ্রামের মধু চাষি আবদুল মোতালিব। তবে তার জন্য প্রয়োজন আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।

আজাদ মিয়া জানান, মধু চাষে কম খরচে বেশি আয় হয়। এক লিটার মধু বিক্রিতেই হাতে আসছে ৫০০-৬০০ টাকা। কমলগঞ্জ মধু চাষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ তালুকদার বাবুল জানান, মৌ-চাষে যে উপকরণ বেশি পরিমাণে প্রয়োজন, যেমন শস্যচাষ, ফুল ও ফলের বাগান তা কম হওয়ায় অনেক সময় আশানুরূপ মধু পাওয়া যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে চাষিদের শস্য ও ফলমূল চাষে প্রলুব্ধ করলে মধু চাষিরা আরও সফল হবেন।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আদমপুর এলাকার পাশেই পড়েছে রাজকান্দি বন। বিস্তৃত এই বনের গাছে গাছে মধুর চাক তৈরি করে মৌমাছি। পেশাদার মধুশিকারিরা সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে হাট-বাজারে বিক্রি করেন। খাঁটি এই মধুর খোঁজে আদমপুরে ছুটে আসেন ক্রেতারা। তবে প্রাকৃতিক মধু দিয়ে সবার চাহিদা মেটানো যায় না। তাই এলাকায় দু-চারটা কাঠের বাক্স বানিয়ে মৌমাছির কলোনি সৃষ্টি করে মধুর চাষ শুরু হয়। লাভজনক হওয়ায় বছর ১০-১২ ধরে এই মধু চাষ বাণিজ্যিকভাবে এলাকার ঘরে ঘরে সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রায় বাড়িতেই আছে এক-দুটি বাক্স।

মধুচাষিরা জানান, রাজকান্দি পাহাড়ের কাছে কাঁঠালকান্দি গ্রামের আজাদ মিয়া একজন মধুশিকারি। তিনি গাছের ঝুলন্ত চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। তিনি পাহাড় থেকে ‘রানি মৌমাছি’ ধরে আনেন। কাঠের বাক্সে কলোনি তৈরি করেন। এরপর সেই রানি মৌমাছিসহ কলোনি বিক্রি করেন। আজাদ মিয়া জানান, এতে করে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে মধু চাষ। এখন আরও অনেকেই এই কাজে যুক্ত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়