শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫০ রাত
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরজ আলী মাতুব্বর যেমন করে ছড়িয়ে গেলো

আইয়ুব হোসেন : বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের পেছনের ভবনের সিঁড়িতে একজন কৃষক দর্শনের অপরিচিত মানুষকে দেখে একদিন থমকে দাঁড়ালাম। লম্বা, কৃশকায়, একহারা গড়ন তাঁর। পাঞ্জাবি-পাজামা পরনে। পায়ে রাবারের জুতো। একেবারে সাদামাটা। তামাটে গায়ের রং, পোড় খাওয়া মানুষ, দেখে আঁচ করা যায়। আপাদমস্তক সাধারণ, সাদাসিধে। তবে অসাধারণ তাঁর চোখ দুটো। তীক্ষ্ম, ধারালো, ভয়ানক বুদ্ধিদীপ্ত।
মনোযোগ দিয়ে চাইলে যে কেউ চোখ জোড়া দেখে আকর্ষণ বোধ করবেন। হঠাৎ করে আমি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়লে তিনিও অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। জিজ্ঞাসু চোখে চাইলেন আমার দিকে। চোখের ভাষায় তাঁর পথ আটকাবার কারণ জানতে চাইলেন। আমি কিছুটা জড়তা নিয়ে শুধোলামÑ আপনাকে তো চিনলাম না! সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিলো, তিনি বুঝি কোনো গ্রামের চারণ কবি। পথ চলেন, আর স্বভাবসুলভ কবিতা বানান। উৎসুক শ্রোতা পেলে ধরে প্রবল উৎসাহে শুনিয়ে দেন। সেই কথাটি পেশ করে তিনি হয়তো পকেট হাতড়ে দুচারখান কবিতা বের করে পড়তে দেবেন। অথবা পাঠ করে শোনাবেন।
না, কোনোটাই করলেন না তিনি। আমার অনুমানের মতো করে বললেনও না কিছু। একটু রয়ে সয়ে বললেন তিনি, আমি একজন সামান্য কৃষক, থাকি গাঁও-গেরামে। আমাকে চিনবেন কেমন করে! তবে জগৎ ও জীবনের নানা বিষয় নিয়ে একটু আধটু ভাবনা ভাবি। মনের খেয়ালে সেই ভাবনাগুলো নিয়ে গুছিয়ে একটু লেখার চেষ্টা করি। অল্প কয়েকখানা বই বের করেছি নিজের কষ্টের পয়সায়। আমাদের এলাকায় কেউ কেউ হয়তো বইগুলো পড়েছেন। তাও সংখ্যায় খুব বেশি হবে না। বই এতোদূর এই ঢাকা শহরে আসেনি। কখনো আসলেও কেউ তা পড়বে না। ১৫ মার্চ ছিলো আরজ আলী মাতুব্বরের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার প্রতি শ্রদ্ধা
লেখক-গবেষক ও সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়