লুৎফর রহমান হিমেল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে কথা বলতে গিয়ে আমাদের সমাজ-জনতার মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত বাক্যবাগিশ সম্পাদকদেরও প্রায় সময় দেখি হাটু কাঁপাকাঁপি করতে। তারা সারাদিনমান টকশো-গোলটেবিল করা সাংবাদিক। কথার খই ফোটে তাদের মুখে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গেলে এরাই আবার খেই হারিয়ে ফেলেন। একই সাংবাদিককে তাদের দুই জায়গার পারফরমেন্স দেখে ঠিক মেলানো যায় না, তাদেরকে অচেনা লাগে। এর কারণ হতে পারে এরকম— হয়তোবা প্রধানমন্ত্রীও এদের তোষামুদে স্বভাবটা জানেন বলেই উক্ত সাংবাদিকরা কথা বলার সৎসাহসটা করে উঠতে পারেন না। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, তোষামোদকারীরা আর যতো বড়ই হোক, সৎসাহসটা রাখেন না। অথচ সাংবাদিকের সৎসাহস না থাকলে সাধারণ মানুষের সাথে তার কোনো পার্থক্যই আর থাকে না। ২. শপথের অপেক্ষায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল ইসলাম নূরকে একটি ভিডিওতে দেখলাম গণভবনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্বতস্ফুর্তভাবে একটা বক্তৃতা দিলেন। শুধু বক্তৃতাই দিলেন না, ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতি এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার কিছু অসঙ্গতিও তুলে ধরলেন। এমনকি সামনের দিনগুলোর ডাকসু নির্বাচন নিয়েও গোছানো একটি বক্তৃতা দিয়ে ফেললেন। বক্তৃতা শুনে হলভর্তি লোকজন বারংবার হাততালিও দিলো। বক্তৃতাটা ছিলো ১২ মিনিটের। এইটুকু সময়ের বক্তৃতার মধ্যে কোনো বাহুল্য কথা নাই। কোনো রিপিটেশন নাই। গতানুগতিক রাজনৈতিক বক্তৃতার মতো অহেতুক চিৎকার নাই। বরং বক্তৃতায় সৌজন্যতা ছিলো। আবেদন-নিবেদন ছিলো। বিনয় ছিলো। তাকে শিবির বলে যে আখ্যা দেওয়া হয়েছিলো, সুযোগ বুঝে সেটিরও খ-ন করে ছেড়েছেন তিনি। অথচ পুরো বক্তৃতাটি তিনি লিখেও নিয়ে যাননি।
নূর কীভাবে এ পর্যায়ে এসেছেন বা তিনি কদ্দূর যাবেন তা নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। তবে এর আগে তার কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি আমি শুনিনি বলে গণভবনের বক্তৃতাটির ব্যাপারে দুলাইন লিখতে ইচ্ছে করলো। এদিন সত্যি সত্যিই তিনি যথাযথ একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। ইংরাজিতে যাকে বলে প্রিসাইজ স্পিস। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :