শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৪৯ রাত
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর সামনে নুরুল হকের জড়তাহীন বক্তৃতা ও আমরা

লুৎফর রহমান হিমেল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে কথা বলতে গিয়ে আমাদের সমাজ-জনতার মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত বাক্যবাগিশ সম্পাদকদেরও প্রায় সময় দেখি হাটু কাঁপাকাঁপি করতে। তারা সারাদিনমান টকশো-গোলটেবিল করা সাংবাদিক। কথার খই ফোটে তাদের মুখে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গেলে এরাই আবার খেই হারিয়ে ফেলেন। একই সাংবাদিককে তাদের দুই জায়গার পারফরমেন্স দেখে ঠিক মেলানো যায় না, তাদেরকে অচেনা লাগে। এর কারণ হতে পারে এরকম— হয়তোবা প্রধানমন্ত্রীও এদের তোষামুদে স্বভাবটা জানেন বলেই উক্ত সাংবাদিকরা কথা বলার সৎসাহসটা করে উঠতে পারেন না। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, তোষামোদকারীরা আর যতো বড়ই হোক, সৎসাহসটা রাখেন না। অথচ সাংবাদিকের সৎসাহস না থাকলে সাধারণ মানুষের সাথে তার কোনো পার্থক্যই আর থাকে না। ২. শপথের অপেক্ষায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল ইসলাম নূরকে একটি ভিডিওতে দেখলাম গণভবনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্বতস্ফুর্তভাবে একটা বক্তৃতা দিলেন। শুধু বক্তৃতাই দিলেন না, ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতি এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার কিছু অসঙ্গতিও তুলে ধরলেন। এমনকি সামনের দিনগুলোর ডাকসু নির্বাচন নিয়েও গোছানো একটি বক্তৃতা দিয়ে ফেললেন। বক্তৃতা শুনে হলভর্তি লোকজন বারংবার হাততালিও দিলো। বক্তৃতাটা ছিলো ১২ মিনিটের। এইটুকু সময়ের বক্তৃতার মধ্যে কোনো বাহুল্য কথা নাই। কোনো রিপিটেশন নাই। গতানুগতিক রাজনৈতিক বক্তৃতার মতো অহেতুক চিৎকার নাই। বরং বক্তৃতায় সৌজন্যতা ছিলো। আবেদন-নিবেদন ছিলো। বিনয় ছিলো। তাকে শিবির বলে যে আখ্যা দেওয়া হয়েছিলো, সুযোগ বুঝে সেটিরও খ-ন করে ছেড়েছেন তিনি। অথচ পুরো বক্তৃতাটি তিনি লিখেও নিয়ে যাননি।
নূর কীভাবে এ পর্যায়ে এসেছেন বা তিনি কদ্দূর যাবেন তা নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। তবে এর আগে তার কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি আমি শুনিনি বলে গণভবনের বক্তৃতাটির ব্যাপারে দুলাইন লিখতে ইচ্ছে করলো। এদিন সত্যি সত্যিই তিনি যথাযথ একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। ইংরাজিতে যাকে বলে প্রিসাইজ স্পিস। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়