শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ০২:২৩ রাত
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ০২:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আল্লাহ আমি জীবের বদলে জীব দিব তবু আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও

মাহফুজ নান্টু: আপনারা আমার সোনামনিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, আমার ইলমা কথা বলছেনা কেন। তোমরা আমার ইলমাকে নিওনা। পুলিশ ইলমার লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় এ কথাগুলি বলছিলেন নিহত ইসলাম মা হাসিনা বেগম।

একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগল প্রায় হাসিনা বেগম আহাজারী করতে-করতে বলছিলেন, আল্লাহ আমি তোমার নামে কতো না নামাজ-রোজা করেছি, কতোনা দুরুদ পড়েছি। আল্লাহ আমি জীবের বদলে জীব দিব, তবু আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও। স্বজনরা শত চেষ্ঠা করে কিছুতেই থামাতে পাড়ছেনা তাঁর আহাজারী।

ইলমার মা হাসিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কি অপরাধ ছিলো আমার মেয়ের, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাঁদের বিচার হবে কি? আমি বেঁচে থাকতে তাদের বিচার দেখে যেতে পারবো কি? হাসিনা বেগমের আহাজারীতে স্বজনসহ বাড়ীতে আগত লোকজনের চোখ বেয়ে জল পরছে। পশ্চিম ভিটির দু’রুমের টিনের ঘরের এক পাশে আহজারী করে যাচ্ছে ইলমার দাদী, অন্য পাশে অজ্ঞান প্রায় ইলমার নানী, উঠানে বসে পাথর হয়ে মাটির দিকে তাঁকিয়ে আছেন ইলমার বাবা দেলোয়ার হোসেন। তখন এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতরনা ঘটে।
যে ছোট্ট ফুটফুটে শিশুটি গতকালও ছাগল ছানা নিয়ে খেলেছে, সে আজ লাশ হয়ে পারে আছে। পাশেই খেলা করছে ছাগল ছানাটি। কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।

তাহিদা ইসলাম ইলমা (৯), জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের গজারীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো সে। বাবা দেলোয়ার হোসেন কাশিনগর বাজারে ফল ব্যবসা করেন, মা হাসিনা বেগম গৃহিনী। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ইলমা বড়, ছোট ভাইটির বয়স ৪।

শুক্রবার বিকেলে ছাগল ছানাটি নিয়ে বাড়ীর পাশে বাগানে যায় ইলমা। এর পর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। মধ্য রাত পর্যন্ত ইলমার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে মাইকিং করা হয় এলাকায়।

গত বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ীর অদূরে খালে কাঁথা পেচানো অবস্থায় ইলমার বিবস্ত্র দেহে দেখতে পায়। পরে খাল থেকে উদ্ধার করা হয় ইলমার মরদেহ। ধারণা করা হয় ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয় খালে। স্থানীয় লোকজন সন্দেহের বসে খালের পাশে বাপ্পি (২০) নামে মদকসেবী এক যুবকের ঘরে তল্লাশী করে ইলমার রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার করে। এসময় স্থানীয়রা বাপ্পি’কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ’কে খবর দেয়। ইলমার হত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা বাপ্পির ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক বাপ্পিকে আটক করে। পরে নিহত ইলমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়