কামরুল হাসান : ২) স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইস নির্মাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডাটা শেয়ারিং চুক্তির অভিযোগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলিরা।
৩) ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে এর আগে ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থা ফেসবুককে কয়েক বিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। এরই মধ্যে শুরু হলো ফৌজদারি অপরাধ তদন্ত।
৪) ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য (বন্ধু তালিকা, কনট্যাক্ট ইনফরমেশন এবং কখনো কখনো ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদান) তার পূর্বানুমতি ছাড়াই ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের মতো ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে ডাটা শেয়ার চুক্তি নিয়ে এবার ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের মুখে পড়েছে বিশ্বের জনপ্রিয়তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
৫) এ ব্যাপারে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানান, তারা তদন্ত কর্মকর্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন এবং বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন।
৬) মার্কিন ‘দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা গত জুনে জানায়, গত দুই বছরের মধ্যে এ ধরনের অংশীদারিত্বমূলক চুক্তি শেষ হয়ে গেছে।
৭) ২২০ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে এক অপ্রতিরোধ্য জায়ান্ট হয়ে ওঠা ফেসবুক বিতকেরও ফাঁদ থেকে বেরোতে পারছে না। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় একটি পক্ষের কাছ থেকে লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য হস্তগত করে। ফলে ওই নির্বাচনে ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের মতামত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করছিল। বিতর্কের পর সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে সর্বশেষ ডাটা শেয়ারিং কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তের খবর প্রকাশের পর গত বুধবার লেনদেন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকের দর ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। এদিনই ফেসবুকের সোস্যাল নেটওয়ার্ক প্লাটফর্ম বড় ধরনের কারিগরি ত্রুটির শিকার হয়।
আপনার মতামত লিখুন :