স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালে দুই মসজিদের হামলায় শোকাহত সারা বিশ্ব। পাঁচ মিনিট হলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে যেতো বড় ধরনের বিপদ। তার থেকে থকেই বেঁচে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটলেও ক্রিকেট অঙ্গনে ঠিকই শোক নেমেছে। আর সেই শোক ছুঁয়ে গেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচকেও।
বুধবার অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে মাঠে নামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমি। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্রসহ সন্ত্রাসীর হামলায় হতাহতের প্রতি শোক জানিয়ে এদিন দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে নামেন কালো আর্ম ব্যান্ড পরে। ম্যাচের আগে করাচি স্টেডিয়ামে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা।
ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়ে দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জেতা দল পেশোয়ার জালমি নিশ্চিত করে ফাইনাল। ম্যাচ জুড়ে ধারাভাষ্যকারদের আলোচনায়ও জায়গা করে ছিল ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভয়াবহতা।
শুক্রবারের এই হামলার পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল করা হয়। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ মতের ভিত্তিতেই নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। একইসাথে সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে আসারও। হ্যাগলি ওভালে মাঠে নামার পরিবর্তে টাইগাররা তাই দেশে ফেরার বিমান উঠেছেন।
হামলার ভয়াবহতায় পুরো ক্রিকেট বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছে। তবে হতাহতের ঘটনায় শোক এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :