রিয়াজ হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু এবং হল সংসদের নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা আমারন অনশন প্রত্যাহার করেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ ডাকসুর নেতারা অনশন স্থলে গিয়ে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। পরে তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গান।
এ সময় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, তোমরা আমাদের সাথে বসো। আমরা তোমাদের সব অভিযোগ শুনবো’। এসময় আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় সবাই আলোচনায় বসবেন বলে তিনি ঘোষণা দেন।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যা সবাই জানি। এজন্য কুয়েত মৈত্রী হলে হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারন করা হয়েছে আর রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করার ব্যাপারে আমিও একমত। আমি তোমাদের সাথে আছি এবং আগামীতে থাকব।
গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রহসনের’ নির্বাচন আখ্যা দিয়ে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বামজোটের আটজন প্রার্থী ও সমর্থকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি ছিল।
গত মঙ্গলবার থেকে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মীম আরাফাত মানব, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তাওহীদ তানজীম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব মাহমুদ, পপুলেশন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের মো. মাঈনউদ্দিন, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অনিন্দ্য মণ্ডল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাফিয়া তামান্না, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আল মাহমুদ তাহা এবং আনতর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রবিউল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :