জাহিদুল কবীর মিল্টন: যশোরের বেনাপোল বন্দরে শুরু হয়েছে শুল্ক ফাঁকির মহাউৎসব। দূর্ণীতি পরায়ন কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে এক শ্রেনির আমদানিকারক সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলেছে। বিজিবির হাতে সম্প্রতি ধরা পড়েছে শুল্কফাঁকির বড় দুুটি চালান। বিজির দবি এই দুটি চালানের মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে। এই শুল্কফাঁকির ঘটনা তদন্ত করছে যশোর কাস্টমস। তারা বলছে বিজিবির ধরা পণ্য চালানে শুল্ক ফাঁকি ধরা পড়লে আমাদানি কারকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যস্থা নেয়া হবে।
বিজিবি সুত্র জানিয়েছে, তারা গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে গত ৫ মার্চ যশোর বেনাপোল সড়কের নতুনহাট থেকে তারা বেনাপোল থেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে আসা একটি ট্রাক আটক করে। এই ট্রাকে প্রায় তিন কোটি টাকা শাড়ি.কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ছিল। এই মালামালের আমদানি কারক বেনাপোলের স্নেহা এন্টারপ্রাইজ। গত ৩ মার্চ আমদানি কারক বেনাপোল বন্দও দিয়ে ভারত থেকে এই মালামাল নিয়ে আসে। বন্দও থেকে এই মালামাল খালাস করায় আর বি ইন্টারন্যাশনাল।
অভিযোগ রয়েছে, এই মালামালের যে শুল্কায়ন হবার কথা সেই শুল্কায়ন করা হয়নি। আমদানি করা মালামালের প্রকৃত শুল্কায়ন না করে পেন চুক্তিতে বন্দও থেকে এই মালামালের চালানটি বের কওে আনা হয়।
এদিকে গত ১২ মার্চ আবার গোপন সংবাদিরে ভিত্তিতে ৪৯ বিজিবির সিও লেঃ কর্ণেল সেলিম রেজার নির্দেশে নতুনহাট থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করে। বিজিবির সিও জানান, এই কাভার্ড ভ্যানেও প্রায় তিন কোটি টাকার মালামাল ছিল। যার মধ্যে ভারতীয় বিভিন্ন শাড়ীকাপড়, চাড়াও সাড়ে ৪শ কেজি চন্দনকাঠ, ১ হাজার কেজি তেতুলে বিচের গুড়া। বেনাপোলের জেড এস এম এন্টারপ্রাইজ এই মালামালের আমদানি কারক।
বিজিবির দাবি এই পণ্যচালান খালাসেও দুর্ণীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্চুক একজন কাস্টমসের কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমেই শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটে। তার জানা মতে বেনাপোল বন্দওে এখন প্রায় শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটলেও দেখবার কেউ নেই। শুল্কফাঁকি দিয়ে কাস্টমসের একটি চক্র যেমন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তেমনই স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, জেড এস এম এন্টারপ্রাইজসহ একাধিক আমাদানি কারক প্রতিষ্টান রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। একাধিক আমদানি কারক জানিয়েছেন, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ এর আগেও একাধিকবার এই শুল্কফাঁকির ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু রহস্য জনক কারনে বেনাপোল বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা স্নেহার বিষয়ে কোন আইনী পদক্ষেপ নেয়নি। আর এ কারনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্নেহা এন্টারপ্রাইজ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমদানি কারকরা স্নেহা এন্টারপ্রাইজের এই বেপরোয়া কর্মকান্ডে কাস্টমসের শীর্ষ কমৃকর্তাদের ইন্ধ রয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :