শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুদের ওপর চাপ প্রয়োগ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আশার আলো

তাসমিয়া আহমেদ : শিক্ষা একটি জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। শক্তিশালী দেশ গঠনের পূর্বশর্তই হলো যথাযথ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। আর একারণেই শিক্ষা পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানের এবং সময়োপযোগী হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে শিক্ষানীতি-১৯৭৪ প্রণয়নের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো-একটি শিশুর নৈতিক, মানসিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং তাকে দেশপ্রমিক, দায়িত্বশীল, আইন-মান্যকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সেই সাথে তার মধ্যে ন্যায়বিচার করার ক্ষমতা, সম্মান, শ্রম, সঠিক আচরণ ও ন্যায়পরায়ণতার মতো গুণগুলোকে বিকশিত করা। অর্থাৎ শিশুকে ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করে গড়ে তোলা। ২০১০ সালে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কবির চৌধুরীর অধীনে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় চেতনাকে ধারণ করে, সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যবই তৈরি করেছে, যাতে শিশুদের স্বাস্থ্যকর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য স্কুলগুলোতে উপযোগী ও আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়। যাই হোক, বাংলাদেশে পড়াশুনার চাপের কারণে শিশুরা তাদের আনন্দময় শৈশব থেকে বঞ্চিত। উন্নত দেশগুলোতে সাত বছর বয়সে শিশুদের স্কুলে পাঠানো হয়। আর আমাদের দেশে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানো হয় অনেক কম বয়সে। গণ-স্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী জানান, ‘উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের আগে বাংলা মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের চারটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এইসব পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার কারণেই শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের ক্লাস-রুমে মূল্যায়নের চেয়ে পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর বেশি জোর দেয়। আর এ কারণেই কোচিং ও গাইড বইয়ের দরকার হয়’।
১৩ মার্চ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোমলমতি শিশুদের ওপর পড়াশুনার অতিরিক্ত চাপ না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সাথে শিশুদের আনন্দের সাথে পড়াশুনার ব্যবস্থার কথা বলেছেন। শিশুদের পড়াশুনার জন্য ক্রমাগত চাপ না দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শিশুদের অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন, স্কুলে প্রবেশের আগেই যদি শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তাহলে কেন তারা স্কুলে যাবে? এ কারণেই ক্লাস ওয়ানের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো প্রশ্ন-পত্র বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার আল আমিন রহমান। তিনি জানান, ‘আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বেদনাদায়ক। শিক্ষার্থীরা এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মত্ত। ফেল করার ভয়ে ভীত পিতা-মাতা ও শিক্ষার্থীরা’। আমরা ভুলে গেছি যে, সাফল্য এক সফর, গন্তব্য নয়। আমরা আনন্দিত। কারণ শিক্ষা ব্যবস্থার যেসব বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, সেগুলোই আমাদের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। যদি তার নির্দেশাবলী যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে আমাদের বিশ্বাস, আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এরপর মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন সফল হওয়ার সময় এসেছে। লেখক : দৈনিক আওয়ার টাইমের নির্বাহী সম্পাদক। (মূল ইংরেজি থেকে অনূদিত ও ঈষৎ সংক্ষেপিত)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়