শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫৮ রাত
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুনর্নির্বাচনের দাবির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাড়া নেই

লিয়ন মীর : ডাকসু নির্বাচন পুনরায় চাচ্ছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় অর্ধশত অনাবাসিক সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছে পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা এ ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা চান ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা। সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের অনাবাসিক ছাত্র খালিদ হাসান বলেন, আমি হলে থাকি না। কোনো রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত নই। আমি ক্যাম্পাসে লেখাপড়া করতে আসি। আমি চাই ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা।

ক্যাম্পাসে অস্থিরতা থাকলে লেখাপড়ার পরিবেশ থাকে না। নির্বাচন যেহেতু হয়ে গেছে আর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ কিন্তু ভিপি পদে হেরে গেছে। যদিও অন্য অনেক পদে জিতেছে। তবে মাথাকেটে বডি রাখলে তার কোনো মূল্য নেই। প্রধান পদ হচ্ছে ভিপি। তাই হেরে যাওয়ার পরেও ছাত্রলীগ যেহেতু ফলাফল মেনে নিয়েছে তাহলে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ফলাফল মেনে নেয়া উচিত। পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। কেননা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন ক্যাম্পাসে যে পরিবেশ বিরাজ করছে এটা লেখাপড়ার জন্য সহায়ক নয়।

তারপর ক্লাস বন্ধ রাখার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। পুনরায় নির্বাচনের এই দাবিতে আমাদের মধ্যে একধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে, আদৌ আমরা ক্লাস করতে পারবো কিনা? পরীক্ষা সময়মতো হবে কিনা? নির্বাচিত ভিপিকে বলবোÑতিনি যেহেতু নির্বাচিত হয়েছেন, সেহেতু ভোটারদের প্রতি সম্মান রেখে তার শপথ গ্রহণ করা উচিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী তানভীরুল হক বলেন, ভিপি পদে হেরে ছাত্রলীগ মাথাছাড়া কলাগাছে পরিণত হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ কিন্তু সরকারি দলেরই অংশ। প্রধান ক্ষমতাসীন দল হয়েও ছাত্রলীগ যদি হেরে যাওয়া ফলাফল মেনে নিতে পারে, তাহলে অন্যদের সমস্যা কোথায়? আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

পুনরায় নির্বাচনের দাবি করাটা যৌক্তিক নয়। অন্য শিক্ষার্থী রূপক আহম্মেদ বলেন, নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর আগে থেকেই জনপ্রিয়। নূর ভাই ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নির্বাচিত হওয়ার পরে নূর ভাই শপথ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শপথের ঘোষণা দেয়ার পরে আবার মতামত বদল করছেন। আমি মনে করি, নূর ভাইকে শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, তাই পুনর্নির্বাচনের কথা বাদ দিয়ে তার শপথ গ্রহণ করা উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ২৮ বছর পরে নির্বাচন হয়েছে, এটাই বড় কথা। সব নির্বাচনেই কিছু না কিছু সমস্যা হয়, এখানেও হয়েছে। তবে ডাকসুতে যদি বড় কোনো সমস্যা হতো তাহলেও ছাত্রলীগের ভিপি হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা নূর ভাইকে ভোট দিয়েছি, নূর ভাই ভিপি হয়েছেন। এখানে পুনরায় নির্বাচনের কথা আসবে কেন? আমরা আশা করবো, নূর ভাই অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি থেকে সরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শপথ গ্রহণ করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়