শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ০১:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. মনি লাল আইচ লিটু বললেন, ঘুম মানসিক চাপ কমায়

সুমন পাইক : আধুনিক সভ্যতায় ব্যস্ত মানুষ ঘুমের প্রয়োজনীয়তাকে খাটো করে দেখছে। অথচ ঘুম শারীরের প্রয়োজনীয় মৌলিক অংশ। তাই অনিদ্রা জনিত সমস্যার জটিলতা বিষয়ে সচেতন করার জন্য এবছর ১৫ মার্চ বিশ্বে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব নিদ্রাদিবস’। সুনিদ্রার গুরুত্ব বোঝাতে ২০০৮ সাল মার্চ মাস থেকে সারা বিশ্বে ঘুম দিবস পালন শুরু হয়। এবছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সুনিদ্রাই নিশ্চিত করে সুস্বাস্থ্য’।

এ বিষয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক, কান গলা ও হেড নেক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. মনিলাল আইচ লিটু জানান, বিশ্বের অন্তত ১০০মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয়না। বিশ্বের ৮ শতাংশ মানুষ নিদ্রা জনিত রোগ এবং নাক ডাকা সমস্যায় আক্রান্ত। এছাড়া ২২মিলিয়ন আমেরিকান নিদ্রাহীনতায় ভুগছে। বয়স ভেদে এর কারণেও ভিন্নতা রয়েছে। সুনিদ্রার উপকারিতা বহুবিধ। প্রশান্তিময় ঘুম মানসিক চাপ কমায়, স্মৃতি শক্তি বাড়ায়, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়, শিশুদের মেধাবিকাশে সাহায্য করে,
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, সুস্থ মানসিকতা সুরক্ষা ও কর্ম উদ্দীপনা বাড়ায়। ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন সুনিয়ন্ত্রিত জীবন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান এবং ঘুম থেকে উঠতে হবে।

তিনি আরো জানান, দিনের বেলা ৪৫ মিনিটের বেশি ঘুমানো উচিৎ না। ধুমপান এবং এলকোহল বর্জন, ঘুমাতে যাওয়ার ৬ ঘন্টা পূর্বে চা, কফি, চকলেট, সোডা বর্জন করতে হবে। রাতে ভারী এবং মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়া ও নিয়োমিত ব্যাম করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত এডিনয়েড ও টনসিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত কারণে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। বড়দের বেলায় নাকের হাড়বাঁকা, বড় আকারের টনসিল, নাকের পলিপ এবং সর্বোপরি অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এর মূলকারণ। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ ঘুম কম হওয়ার বিষয়টি সরাসরি বুঝতে পারেননা। বিশেষ করে মুখ হা করে ঘুমানো কিংবা নাক ডাকাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন। উল্টো নাক ডেকে ঘুমানোকে অধিকাংশ লোকজন গভীর ঘুম বলে মনে করেন।সাধারণের এই ধারণার উল্টোটাই সত্যিই। নাক ডাকা কখনোই স্বাস্থ্যকর বিষয় নয়। যারা নাক ডাকেন তাদের মধ্যে অনেকেরই ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ বা শ্বাসবন্ধ হওয়ার ঘটনা থাকে।এই দম বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়মিত ভাবে অল্প সময়ের জন্য হতে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়