শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিশ্বখ্যাত ভাসমান ট্রেনের আবিস্কারক বিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: শেকড়ের টানে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ঘুরে গেলেন ভাসমান ট্রেন আবিস্কারক বিশ্ববরেণ্য পদার্থ বিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম। নিজ দেশে এসে তিনি জন্মস্থান বড়লেখা পৌরশহরের বারইগ্রামে ছুটে আসেন। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

গত বুধবার দুপুরে বড়লেখা পৌরশহরের আর.কে লাইসিয়াম স্কুল পরিদর্শন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ড. আতাউল করিমের চাচাতো ভাই বড়লেখা আর.কে লাইসিয়াম স্কুলের শিক্ষক তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে জানান, আড়াই বছর পর তিনি দেশে ফিরেছেন। বাড়িতে আসার পর আর.কে লাইসিয়াম স্কুলের শিক্ষকদের অনুরোধে স্কুল পরিদর্শন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সময় সল্পতার কারণে সবার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেননি।

ড. আতাউল করিম ১৯৫৩ সালের ৪ মে বড়লেখার মিশন হাউসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ডা. মোহাম্মদ আবদুস শুকুর পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। বড়লেখা সদরের ষাটমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর বড়লেখার ঐতিহ্যবাহী পিসি হাইস্কুলে পড়ালেখা করেন। পরবর্তী সময়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে প্রথম শ্রেণীতে ৪র্থ স্থান অধিকার করেন। ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সিলেট এম.সি কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রি লাভের পর উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার অব সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স অব সায়েন্স এবং পিএইচডি করেন ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা থেকে।

পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮২ সালে তিনি আরকানস বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সালে তিনি নরফোকে অবস্থিত ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ড. আতাউল করিম ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন রকম গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ম্যাগলেভ ট্রেনের প্যাটার্ন আবিষ্কার তাকে সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ করে তোলে।

ড. আতাউল করিম ভার্জিনিয়ার নরফোকের ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা কালে ম্যাগলেভ ট্রেন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৭ বছর ধরে এ ধরনের একটি ট্রেন তৈরির চেষ্টা করছিলেন, তবে সাফল্যের দেখা পাননি। ড. আতাউল করিম ২০০৪ সালে এই গবেষণা প্রকল্পের সফলতা অর্জন করেন। এরপর মাত্র দেড় বছরে ট্রেনটির প্রযুক্তি নির্মাণে সক্ষম হন এবং গবেষণায় পরীক্ষা মূলকভাবে সফল হন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথের প্রোভোস্ট এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে কর্মরত। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়