মারুফুল আলম : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে শুধুমাত্র রেস্তোরায় জরিমানা করলেই সমস্যা সমাধান হয় না, কারণ জরিমানা করার পরে তারা জানতে চায়, কীভাবে ভেজাল এবং দূষণমুক্ত খাদ্য পরিবেশন করা যায়। তাই আমরা তাদেরকে ভেজাল ও দূষণমুক্ত খাদ্য পরিবেশনের শিক্ষাও দিচ্ছি। শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে উৎপাদক ও ভোক্তা সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যে উৎপাদক, সেই ভোক্তা; আবার যে ভোক্তা, সেই উৎপাদক- খাদ্যে ভেজাল রোধে সবাইকে নিজেদের মধ্যে এই চেতনা তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিলো। সেটি নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার আইন করা হয়েছে। তবে শুধু আইন হলেই সমস্যার সমাধান হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। এ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সচেতনতা বাড়ানোর কী ধরণের পদক্ষেপ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে একটি করে কমিটি করা হয়েছে। তারা স্কুল কলেজে সেমিনার এবং মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও এ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় সভা করেছি। জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রে আমাদের ৪৬৫টি কমিটি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও শুক্রবার নিরাপদ খাদ্য নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দিবস পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাজারের খাবারে কেমিক্যাল প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মুরগী এবং গরু মোটাতাজা করতে যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়, সেটি মানবদেহে চলে যায়। ফলে মানবশরীরে প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না।
এই বিষয়ে আপনাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নিয়ে গরুখামারি ও মুরগীখামারিদের সঙ্গে মিটিং করেছি এবং টাইম টু টাইম পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য দায়িত্বরত লোক রয়েছে। সেইসঙ্গে মোবাইল কোর্টের বিধানও এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি আশা করেন, খাদ্যে ভেজাল শিগগির নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :