সুমন পাইক : ভোক্তা হিসেবে অধিকার লংঘিত হলে সল্পসময়ে আইনি প্রতিকার পাওয়া যায়। এই বিষয়ে সবাই সচেতন হলে কাউকে পণ্য কিনে বা সেবা গ্রহন করে ঠকতে হবে না। তাই ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। ১৫ মার্চ ভোক্তা অধিকার দিবসে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান সংশ্লিষ্টরা।
ক্রেতাদের অধিকার আদায়ে ২০০৯ সালে করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন। ওই বছরই আইনটির বাস্তয়নে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ধীরে ধীরে এ অধিদপ্তর দেশের ৬১ জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বেড়েছে অভিযোগ প্রাপ্তি ও নিষ্পত্তির সংখ্যাও। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান জানায় ৩০ শতাংশ ভোক্তা তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। ভোক্তাদের অধিকার আদায়ে সুনির্দিষ্ট ৮টি অভিযোগের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল জানান, যিনি অর্থ দিয়ে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন তিনিই ভোক্তা। ভোক্তা হিসেবে তার কিছু অধিকার রয়েছে। কোন ক্ষেত্রে অধিকার লংঘিত হলে এর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। আভিযোগ পাওয়ার পর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে। তাই ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। এ ছাড়াও অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়ে। অনিয়ম পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :