শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৫৯ সকাল
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনশন ভাঙাতে গিয়ে ‘পদত্যাগ পদত্যাগ’ ধ্বনীর মুখে ফিরে গেলেন প্রভোস্ট জিনাত হুদা (ভিডিও)

মারুফুল আলম ও মঈন মোশাররফ : রোকেয়া হলের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে বৃহস্পতিবার রাতে হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদা তাদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রভোস্ট ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি সবসময় তোমাদের দেখভাল করেছি। আমি তোমাদের অভিভাবক হিসেবে বলছি, তোমরা হলে ফিরে যাও। তখন শিক্ষার্থীরা  সমস্বরে ‘না’ বলে হলে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ‘ভুয়া, ভুয়া, পদত্যাগ পদত্যাগ’ ধ্বনীতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো হল এলাকা।

এক ছাত্রী প্রভোস্টের উদ্দেশে বলা শুরু করে, ২ দিন ধরে আপনার অপেক্ষায় ছিলাম, কোথায় ছিলেন আপনি? যখন ৬ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করে, তখন আপনি কোথায় ছিলেন? যখন হলের ম্যামরাসহ সবাই রাত জাগলো, তখন আপনি কোথায় ছিলেন? এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী বলেন, আমরা আপনাকে অভিভাবক মানি না। তখন আবারো ‘পদত্যাগ পদত্যাগ’ শব্দ ধ্বনিত হয়।

অন্য ছাত্রী অনশনকারীদের উদ্দেশে বলে, ছাত্রলীগের মুখে একটি কথা প্রায় শোনা যায়, ‘রোকেয়া হলের মাটি, ছাত্রলীগের ঘাঁটি’, কথাটি ঠিক কিনা? সবাই সমস্বরে জবাব দেয় ‘না’। এই হল কি সাধারণ মেয়েদের নাকি ছাত্রলীগের? তখন সবাই বলে ‘সাধারণ মেয়েদের’।

উপস্থিত সদ্য নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, অনেক দাবি থাকবে, অভিযোগ থাকবে। কিন্তু আমরা যেনো সুশৃঙ্খলভাবে সেগুলো তুলে ধরি। কোনো রকম অস্বস্তিকর পরিবেশ যেনো আমাদের কারণে সৃষ্টি না হয়, আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর রাব্বানী, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আরো অনেকে।
সেসময় গোলাম রাব্বানীকের উদ্দেশে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, অনিয়মে আপনিও ছিলেন, আপনি এখানে দাঁড়ান কিভাবে? আপনার লজ্জা লাগে না? এরপর রাব্বানীর উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে। এক ছাত্রী বলে, আপনি দলবল নিয়ে এসেছিলেন আমাদেরকে ভয় দেখাতে। তখন আপনি আমাদের বলেছেন রাস্তার মেয়ে, আর এখন আসছেন অনশন ভাঙতে। তাহলে রোকেয়া হলের মেয়েরা কি রাস্তার মেয়ে? প্রশ্ন রাখেন আন্দোলনরত ওই শিক্ষার্থী।

এরপর ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রক্টর রাব্বানী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা তোমাদের কথা শুনেছি, এবার তোমরা আমার কথা শোন। তোমরা অনশন ভঙ্গ করো। তোমাদের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, আমরা তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছি। তোমাদের দাবিগুলো নিয়ে তোমরা স্যারের সঙ্গে বসবে। বিভিন্ন সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে, তবু সবাইকে একসঙ্গে চলতে হয়। আমাদের পরিবারের সমস্যা আমরাই সমাধান করবো। নিরাপত্তাহীন অবস্থা হলে থাকবে না। এটা সুস্পষ্টভাবে পরিষ্কার করছি। প্রভোস্ট তোমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তবুও বলবো, মামলার বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেটিও সমাধান হবে। আমার বিশ্বাস তোমরা আমাদের খালি হাতে বিদায় করবে না। এসময় প্রভোস্টের সামনেই অনশনরত এক শিক্ষার্থীর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়