শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫২ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাকসু : ‘অফ দ্য স্টুডেন্টস, বাই দ্য স্টডেন্টস, ফর দ্য স্টুডেন্টস’!

মাসুদ রানা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী-সংসদ হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষার্থীদের দ্বারা, শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত সংস্থা (of the students, by the students, for the students)।
শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত সংস্থাসমূহের প্রতিটিরই সভাপতি থেকে কার্যকরী সদস্য পর্যন্ত প্রত্যেকেরই হওয়া উচিত নির্বাচিত বৈধ শিক্ষার্থী। শিক্ষক যতো উচ্চ পদ বা মহৎই হোন না কেন, ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচিত সংস্থায় তার স্থান হওয়া উচিত নয়।
দুর্ভাগ্যবশত ডাকসুর কাঠামোয় নির্বাচিত সর্বোচ্চ পদ হচ্ছে ভিপি বা সহসভাপতি। কেন? কারণ এর প্রেসিডেন্ট বা সভাপতি হচ্ছেন পদাধিকারবলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। উপচার্য সংজ্ঞানুসারে শিক্ষার্থী নন এবং তিনি নির্বাচিতও নন।
ডাকসুর সভাপতি পদে উপাচার্য থাকা আর ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ কিংবা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান হওয়ার মতো একটি অযৌক্তিক ও কৌতুকময় ধারণা ও চর্চা, যদিও তা চর্চিত হয়ে এসেছে অনেকদিন ধরে। এটি সম্ভবত ঔপনিবেশিক আমলের চর্চা, যা স্বাধীন জাতির তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপযোগী।
আমি ডাকসুর প্রাক্তন নির্বাচিত সদস্য (১৯৮২-১৯৮৯) হিসেবে জানি, ডাকসুর ট্রেজারার বা কোষাধ্যক্ষও নির্বাচিত কোনো ছাত্রছাত্রী নন। তিনি এমনকি যতোটুকু মনে পড়েÑকোনো শিক্ষকও নন, তিনি একজন অফিসার বা কর্মচারী। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রীতিমতো একটি ‘ইনসাল্ট’ বা অপমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যে ‘ইউনিয়ন ফি’ পরিশোধ করে তা-সহ ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ ব্যবস্থাপনা অধিকার ও দায়িত্ব একমাত্র ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচিত সংস্থা ডাকসুর। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রস্তাব করছি...
প্রথমত. ডাকসুকে ১০০ ভাগ শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত সংস্থা হিসেবে পুনর্গঠিত করে নতুন সংবিধান রচনা করা হোক, দ্বিতীয়ত. ছাত্রছাত্রীদের পরিশোধিত ‘ইউনিয়ন ফি’সহ ছাত্রছাত্রীদের বিনোদন, ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্যসহ যাবতীয় সৃষ্টিশীল তৎপরতার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয় তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ডাকসুর ওপর ন্যস্ত করা হোক।
অর্থ ব্যয়ের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়টি বিধিবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চিত করবে, কিন্তু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচিত সংস্থা ডাকসুর হাতে ছাড়তে হবে।
আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সংসদকে হতে হবে জাতীয় সংসদের মতো একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা, এই সংসদের সভাপতিকে হতে হবে রাষ্ট্রপতির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রধান, এর সম্পাদকম-লীকে হতে হবে সরকারের মন্ত্রিপরিষদের মতো একটি যৌগিক সত্তা, যারা নির্বাচিত ও অভিষিক্ত হওয়ার পর বাজেট তৈরি করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনিটের অনুমোদন লাভ করে সারাবছরের তৎপরতা পরিচালনা করবে।
আমি যা প্রস্তাব করছি, তার অন্তর্নিহিত অর্থ হচ্ছে এই যে, ডাকসু, রাকসু, চাকসু, জাকসু ইত্যাদি সংস্থায় নির্বাচিত হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা-আকাক্সক্ষা অনুসারে তা পরিচালনা করার মধ্য দিয়ে আগামীদিনের রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার প্রস্তুতি নেবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উচ্চ শিক্ষারত আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
এই প্রবন্ধে আমি সংক্ষেপে একটি প্রাথমিক প্রস্তাব রাখলাম। পরবর্তীতে আমি এই প্রস্তাবকে বিস্তৃত আকারে উপস্থাপন করবো।
লেখক : সাবেক ডাকসু সদস্য (১৯৮২-৮৯)। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়