ব্রাত্য রাইসু : আগেকার দিনের জ্ঞানী লোকেরা সাহিত্য বা কিতাবকে সঠিকের মর্যাদা দিতো, তাই অভিজ্ঞতার মহাসিন্দুক দরকার ছিলো তাদের। এখন? এখন আর সাহিত্য বা বইপুস্তকে ভগবান খোঁজে না লোকে। সাহিত্য সব রকমের ভার বহনের দায় থেকে মুক্ত। সাহিত্য এখন প্রায় সাহিত্যই নয়। আগে কেন তাইলে তেমন ছিলো? যদি প্লেটোর আদর্শ বিড়ালটি কোথাও আছে তবে সাহিত্যেরও জীবন থাকার দরকার আছে। যতো কিতাব রচিত হইতে পারবে সব কিতাবের উদ্দেশ্য মূল কিতাবে পরিণত হওয়া। কিন্তু তা তো নয়। এখন সাহিত্যের মূল কী? জীবনেরই ঠিক নেই আর সাহিত্য! ফলে অভিজ্ঞতা বা কপি লাইফের প্রয়োজন আর নেই।
২. গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা দুইটা ভিন্ন জিনিস। ডিম ভাজতে কড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা কড়াইয়ের গুরুত্ব বোঝায় না। যদি সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ তবে কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যা কিছুই আমাদের প্রয়োজন বা লাগে তা কিছুই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন নয়। সারাদিন আপনি যা করছিলেন তার সবই আপনার অভিজ্ঞতা নয়। অভিজ্ঞতা এক রকমের মূল্য আরোপন। প্যাটার্ন বা ছন্দ আবিষ্কার করে তা অনুসরণ করতে থাকা ও অন্যকে সংক্ষিপ্ততম সেই রাস্তা দেখানো। সাহিত্যে একশোটা বা হাজারটা জিনিস দরকার পড়ে। অভিজ্ঞতাও তার মধ্যে একটা। যা কিছু সাহিত্যে আসে বা আমরা ব্যবহার করি তার সবই কী গুরুত্বপূর্ণ? না মনে হয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :