শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৩:০০ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সামিট-জিই চুক্তি স্বাক্ষর

শাহীন চৌধুরী: মেঘনাঘাটে একক ভাবে দেশের বৃহত্তম ৫৮৩ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সামিট গ্রুপের সাথে মার্কিন কোম্পানি জিই কনসোর্টিয়াম ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যাদেশ মূল্য ৩৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী। সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মার্কিন রাষ্টদূত আর্ল আর মিলার। অতিথি হিসেবে যোগদান করেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, জিই-র চেয়ারম্যান পাওয়ার জন রাইস, বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, দশ বছর আগে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছিলেন এ জার্নি অব ডার্কনেস। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার সেখানে আলো ফুটিয়েছে। এখন দেশের শত ভাগ মানুষ বিদ্যুতের দোড়গোরায়। তিনি বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সামিটের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ১৯৯৬ সালে বেসরকারি বিদ্যুতের যাত্রা শুরু করেছিলেন শেখ হাসিনার সরকার। আবার সেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তার পূর্ণতা পেল। এখন দেশের ৫৬ ভাগ বিদ্যুৎ বেসরকারি খাতে উৎপাদিত হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই নয়, কারিগরি খাতেও বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, জিই-র কারিগরি দক্ষতা বিশ্বখ্যাত। আমি গর্বিত যে আমেরিকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। বহু আমেরিক্যান কোম্পানি বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সামিট বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে কার্যকরি হেভি ডিউটি গ্যাস টারাবইন, জিই-র ৯এইচএ ফ্লিট ব্যবহার করবে। এটি আইএসও কন্ডিশনে ৬৩ শতাংশ কার্যকরি। বর্তমান গ্যাসের মূল্য অনুযায়ি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুতের দাম পড়বে ২ দশমিক ১৭৬ টাকা যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়