হিমাদ্রি শেখর রায় : জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করতে চায়। আর কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরকার কর্পোরেট কর, শ্রমকল্যাণ ভাতা, সরকারি রাজস্বসহ নানারকম কর পেয়ে থাকে। বুধবার একাত্তর টিভির টকশোতে তিনি আরো বলেন, সরকারের বেশি কর পেতে চাওয়ার লোভকে কাজে লাগিয়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে। এতে জনগণের ভোক্তা অধিকার হরণ হচ্ছে।
গ্যাস কোম্পানিগুলোর কাছে সরকার বেশি মুনাফা চাচ্ছে বলেই এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে শামসুল আলম বলেন, এভাবেই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠছে। সরকার জনগণের সঙ্গে এভাবে ব্যবসামুখী হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন এ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, আইনে বলা আছে, এক অর্থবছরে কোন পণ্যের দাম এক বারের বেশি বাড়ানো যাবে না। জ্বালানি চাহিদা বেড়ে গেলে সেক্ষেত্রে মূল্যহার পরিবর্তিত হতে পারে। মূল্যহার বৃদ্ধি মানে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি নয়।
শামসুল আলম বলেন, সঞ্চালন কোম্পানি, উৎপাদন কোম্পানি এদের লাভের সাথে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের প্রচলিত আইনে ভোক্তাকে যে পণ্য দেওয়া হবে তা সঠিক দামে, মাপে ও মানে পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সেই আইন আইনের তত্ত¡াবধান করে। রেগুলেটরি কমিশনের আইনেও ভোক্তার অধিকার ও সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং বিআরসি এই আইনের রক্ষক।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, জ্বালানির আমদানি উচ্চ মূল্যে দিতে হচ্ছে কিন্তু দেশী গ্যাসের মূল্য কম ছিলো। প্রথম পর্যায়ে সরকার নির্বাচনের কারনে জ্বালানির দাম তেমন বেশি বাড়াতে পারেনি। তবে এখন দাম বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ ধরণের কার্যক্রম সরকারকে আইনের মধ্য থেকেই করা উচিত বলে মনে করেন ম. তামিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গ্যাসের দাম ঐতিহাসিকভাবে কম। পূর্বে সব সরকারই কম দামে গ্যাস দিয়ে জনপ্রিয় থাকতে চেয়েছে। যেহেতু এখন উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে এবং গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তাই গ্যাসের দাম আর কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :