জাবের হোসেন : দেশে বর্তমানে ২ কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি ফাউন্ডেশনের এক পরিসংখ্যান বলছে দেশে প্রতি বছর নতুন করে কিডনি বিকল হচ্ছে প্রায় ৮ লাখ মানুষের। যার প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়ালাইসিস। অথচ শুধু মাত্র টাকার অভাবে দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ এই চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না। দেশে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে এমন অনেক রোগী আছেন, যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস প্রয়োজন। আর এ চিকিৎসা বেঁচে থাকার প্রয়োজনে দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতে হয়। অথচ এর ব্যায় অনেক বেশি। যা দেশের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। চ্যানেল ২৪
কিডনী নষ্ট হওয়ার উপসর্গ সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনীর কর্মক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আগে বোঝা যায়না। তবে একটু সচেতন হলেই এ রোগ অনেকটা প্রতিরোধ করা যায় বলে জানিয়েছেন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞরা।
ইমপালস হাসপাতালের চীফ নেফ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডা.মুজিবুল হক মোল্লা বলেন, আমাদের দেশের মানুষ অযথা ওষুধ খায়। যেগুলোর কোন প্রয়োজন নাই। কিছু হলেই আমরা এনটিবায়োটিক খাই, গ্যাসের ওষুধ খাই। এই গ্যাসের ওষুধ গুলো কিডনির জন্য ভালো নয়। আমরা যে পল্ট্রি খাবারগুলো খাই, বিশেষ করে ডিম, মাছ, মুরগি এতে প্রচুর এনটিবায়োটিক থাকে। তাতে কি হয় এনটিবায়োটিক আমাদের শরিরে যায়।
অসহায় কিডনী রোগীদের জন্য গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মাত্র ৯০০ টাকায় রোগীদের ডায়ালাইসিস করছে। প্রতিদিন তিন পর্বে ২৩০ থেকে ২৪০ জন রোগী এখানে ডায়ালাইসিস করাতে পারে।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল নেফ্রোলজি বিভাগীয় প্রধান ব্রি.জেনারেল মামুন মোস্তাফি বলেন, আমরা অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে আলট্রাপিউর পানি দিয়ে এই সিস্টেমগুলোকে পরিস্কার করে পুনরায় ব্যাবহার করি। যার ফলে আমরা এগুলো ২৫ বার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারি। এতে রোগির খরচ অনেক কমে যায়।
গণস্বাস্থ্য ডায়লাইসিস সেন্টার সমন্বয়ক ডা.মহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, আমরা এখানে বিশেষ একটা বিমার মাধ্যমে এই চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এবং আমাদের এখানে ৭০শতাংশ রোগির চিকিৎসার খরচ হলো এগারোশ টাকার কম। রোগীর অর্থনৈতিক সক্ষমতার ভিত্তিতে মোট ছয়টি ভাগে সেবা দেয়া হয়। অতি দরিদ্রদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা।
আপনার মতামত লিখুন :