মঈন মোশাররফ : তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতিতে বৈচিত্র আনতে ও ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। স¤প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে উচ্চপর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল। যদিও ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব তৈরি করেছিলো ঢাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বুধবার সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, গত কয়েক বছরে বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের অধীনে, যিনি এমবিএস নামে পরিচিত, সৌদি আরবের রক্ষণশীল ক‚টনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, এমবিএস ইসলামের উদার সংস্করণ গ্রহণ করেছেন, তেলের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা হ্রাস করার জন্য তার দেশের অর্থনীতিকে বহুমুখী করার দিকে নজর দিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য খুবই ভালো জায়গা বলে মনে করছেন।
ইমতিয়াজ জানান, হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটও বিনিয়োগের ভালো স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে আমি মনে করি, বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ করার জন্য এটিও সৌদি আরবকে উদ্দীপ্ত করেছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রার সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন বছরে শেখ হাসিনা তিনবার সরকারি সফরে সৌদি আরব গিছেন। এসব সফরে সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, বাংলাদেশে কয়েকটি বড় প্রকল্পে প্রত্যক্ষ সৌদি বিনিয়োগের পথ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রকল্পে ১৫-২০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগের আশা করেছিলাম। এই তহবিল আসবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে থাকা ২৫০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নামের তহবিল থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :