শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ০৪:২৯ সকাল
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ০৪:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নূর অ্যাট অ্যা ক্রসরোড

যায়নুদ্দিন সানী : সো? ডাকসু শেষ। খুশি? আই গেস সো। লাশ পড়েনি। ছোটখাট পিটুনি হয়েছে, বাট দ্যাটস ওকে। হয়েই থাকে। রেজাল্টও চলে এসেছে। অন্য পক্ষেকে দুটো দেয়া হয়েছে। নট ব্যাড। অনেকেই বলতে চাইছেন, ‘ত্রিশে ডিসেম্বর পার্ট টু’। বলতে চাইলে আপত্তি করবো না। তবে আমার মনে হচ্ছে, খেলায় আরও কিছু টুইস্ট আছে এবার।
নির্বাচনের আগে, বেশ কয়েকজনের মত চেয়েছিলাম। ‘ডাকসু সম্পর্কে আপনার প্রেডিকশান কি?’ প্রায় সবাই শুরু করেছিলো, ‘যদি ইলেকশান ঠিকমত হয়’। মতামত শেষ করতে দিইনি। টিপিক্যাল গবেট টাইপ উত্তর। আরে বাবা নির্বাচন ঠিকঠাক হলে, কি হবে, তা জানার ইচ্ছা তো নাই। যা হবার হবে। রেজাল্ট দেখে জেনে নেব। প্রশ্ন তো অন্য। নির্বাচনটা কেমন হবে?
এনিওয়ে প্রশ্নটা ক্লিয়ার করার পরে দেখলাম, সবাই আমতা আমতা করছে। কমবেশি সবাই কনফিউজড। কেউই শতভাগ সিওর ছিলো না, কারচুপি হবে? না সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিছুদিন আগের নির্বাচন নিয়ে যে সমালোচনা চলছে, সেটায় বিরাম দিতে হয়তো। দেখলাম, সবার মনের কোণেই আশা, ডাকসু হয়তো ছেড়ে দেবে। কিন্তু শতভাগ নিশ্চিত না।
এনিওয়ে, নির্দিষ্ট দিনে কিংবা মতান্তরে আগের দিনে ইলেকশান হল। প্রচুর নাটক হলো। এরপরে আসল রেজাল্ট। এভ্রিবডি গট দেয়ার অ্যান্সার। অ্যান্ড ইট ওয়াজ নট এক্সপেক্টেড। ভিপি আর আরেকটা খুচরা পদ দেয়া হয়েছে বিপক্ষ দলের এক গ্রুপকে। বাম গ্রুপকে বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। কোটা গ্রুপকে কাছে টানার চেষ্টা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক শক কাটিয়ে ওঠার পরে শুরু হয় বিশ্লেষণ। আওয়ামী, নন আওয়ামী, সেটায় নেমে পড়েছে সবাই। চ্যানেল, পত্রিকা আর ফেসবুক। তবে সেখানে তেমন কোনো নতুনত্ব নেই। রিয়াকশান কমবেশি ব্যাকরণ মেনেই চলছে। আওয়ামীরা বলছে, কারচুপি হলে তো সবই নিতাম। ভিপি ছাড়তাম? সো, কারচুপি হয়নি। আর অপরপক্ষ, সিম্পটম দেখেই প্রথমে ইউনাইটেড নির্বাচন বর্জন সেরে ফেলেছিলো। ভেবেছিলো, একটাও পাচ্ছে না। সো রাস্তায় নাম্বার প্রিরিকুইজিট সেরে রেখেছিলো।
বাট অরিজিন্যাল প্ল্যানার হ্যাড ডিফ্রেন্ট প্ল্যান। নূরকে তাঁদের দরকার। কি কি চেষ্টা করেছিলো, তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। ব্যাকডোর ডিপ্লোম্যাসিতে কি টোপ অফার কড়া হয়েছিলো, সেটাও অজানা। তবে ভিপি দেয়া হয়েছে। অ্যান্ড মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, বল এখন নূরের কোর্টে। আর তাই এখন দেখার ব্যাপার হচ্ছে, নূর কি করে।
বলাই বাহুল্য, নূর যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, সমালোচনা হবেই। গায়ে কাদা লাগবেই। হয় এপক্ষ লাগাবে, নয়তো ওপক্ষ লাগাবে। এমনিতেই ঘাড়ের ওপরে ঝুঁলছে ‘শিবির করে কি না’। সেটা প্রেসার ট্যাক্টিস হতে পারে, নাও হতে পারে। কোনো সিট না পেয়ে বামরাও গোসসা করে আছে। সো, মূল প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কি পেলে শ্যাম এবং কুল দুইই থাকে?
খেলা শেষ, না আরেকটু বাকি আছে, সে ব্যাপারটা নূরের সিদ্ধান্তের ওপরে ঝুলে আছে। নূরের যে বক্তৃতা ভাইরাল হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে হি ইজ অ্যাট ক্রসরোড। সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, রেজাল্ট মানবে? না প্রত্যাখ্যান করবে। মাত্র দুটো পদে ছাত্ররা ভোট দিতে পেরেছে আর বাকিগুলো কারচুপি হয়েছে, খুব প্যালেটেবল হবে না। আর পুরো প্রত্যাখ্যান করলে, নিজের পদটাও হারাবে। মনে হলো, সেটাও চাইছে না।
কাহিনী কোনোদিকে মোড় নেবে তা নিয়ে প্রেডিকশান প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে। লীগ ছাড়া সবাই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে যে ইউনিটি দেখিয়েছে, সেটা আরও বড় রূপ দেয়া যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। বামরা যেহেতু একটাও সিট পায়নি, সো তারা চাইছে প্রত্যাখ্যান। আর সেটা না করলে, আই গেস, নূর বামদের ব্যাকিং হারাবে। ইউনিটি আর থাকবে না।
আর মেনে নিলে? তার বক্তব্যকে ডাকসু ভিপির বক্তব্য হিসেবে পত্রিকা কাভার করবে। চ্যানেল ট্যানেলেও ডাক পড়বে। কাল যদি সরকারবিরোধী কোন অবস্থান নেয়, ব্যাপারটা কিছুটা হলেও পাবলিসিটি পাবে। সো, নির্বাচন বয়কট করলে, এই সুযোগটা হারাবে। ফেসবুকের বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য পড়ে বুঝলাম, এখানে চলছে, ‘নানা মুনি’ সিম্পটম। ক্যালকুলেশান করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ‘মেনে নিলে নূরের রাজনীতি শেষ’ আর অন্য গ্রুপ ছক একে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ‘মেনে নেয়াটাই হবে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত’। অর্থাৎ, ফেসবুক বাহিনী এখনও একমত না।
রেজাল্ট হওয়ার বেশ কদিন পার হয়ে গেলেও, পরিষ্কার হচ্ছে না, পদ আঁকড়ে ধরা আর প্রত্যাখ্যানের ভেতরে নূরের সিদ্ধান্ত কোনটা? প্রশ্ন আরও আছে। সিদ্ধান্তটা কি সে নিজে নেবে? না সবার সাথে আলোচনা করে নেবে? অ্যাক্সেপ্ট আর ডিনাই এই দুটো সিদ্ধান্তের ভেতর কোনটায় তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে? ছাত্ররা কি চায়? আমার ধারণা, সেখানেও রয়েছে বিভাজন। সো, অ্যাট দ্যা অ্যান্ড অফ দ্যা ডে, নূরকেই নিতে হবে ফাইনাল কল। কি সেটা? কমবেশি সবাই সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। আর আমি এঞ্জয় করছি, নূরের এই হেজিটেশান। ওয়েটিং অ্যাট দ্যা ক্রসরোড।
লেখক : চিকিৎসক ও কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়