নূর মাজিদ : ২০২০ সালে মার্কিন বিমান বাহিনীর জন্য ১৬ হাজার ৬শ’ কোটি ডলারের বাজেট বরাদ্দ চাইছে হোয়াইট হাউজ। চলতি সপ্তাহেই হোয়াইট হাউজের এই অনুরোধ মার্কিন আইনপ্রনেতাদের জানানো হয়। যা বিমান বাহিনীর জন্য চলতি অর্থবছরের বরাদ্দের চাইতে ৬ শতাংশ বেশি। ফরেনপলিসিডটকম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার ডিটারেন্স বা পারমাণবিক প্রতিরক্ষা বলয় শক্তিশালী করতে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি সহায়ক হবে, এমন ধারনা দেশটির প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
হোয়াইট হাউজের সাম্প্রতিক বরাদ্দ বৃদ্ধির অনুরোধে বিমান বাহিনীর জন্য নতুন অস্ত্রের গবেষণা এবং উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। হাউজের প্রত্যাশিত বরাদ্দ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হলে, বিমান বাহিনী তাদের বর্তমান পারমাণবিক বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমারু বিমানের চাইতে উন্নত ও আধুনিক অস্ত্র কিনতে পারবে।
এইখাতে বিমান বাহিনী মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারের বরাদ্দ বৃদ্ধির অনুরোধ করেছে। যা বিগত বছরের গবেষণা ও নতুন অস্ত্র উন্নয়নখাতে দেয়া বরাদ্দের চাইতে ১৬ শতাংশ বেশি। বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে ফরেনপলিসিডটকম বিষয়টি নিশ্চিত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, প্রত্যাশিত বরাদ্দ পেলে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপে সক্ষম নতুন প্রজন্মের বি-২১ রেইডার স্টিলথ বোমারু বিমান কিনতে পারবে বিমান বাহিনী। যা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিভিত্তিক মিনিটম্যান-২ আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করবে।
এছাড়াও, বিমান বাহিনীর বি-৫২ বোমারু বিমানের জন্য নতুন পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম ক্রুজ মিসাইল কেনা হবে। বর্তমানে এই সকল অস্ত্র নির্মাণ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই বিমান বাহিনীর দাবী, বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে এসব অস্ত্রের নির্মাণ ও সার্ভিসে আসার প্রক্রিয়ায় অনেক সময় সাশ্রয় হবে।
আপনার মতামত লিখুন :