শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ০১:৩৬ রাত
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ০১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছয় বছরেও সন্ধান মেলেনি ব্যবসায়ী বাছেদের, স্ত্রীর বিশ্বাস জীবিত আছেন

সুমন পাইক : ব্যবসায়ী বাছেদ আলমের খোঁজ মেলেনি ছয় বছরেও। ঘটনার পর থানায় মামলা হলেও কোন কিনারা হয়নি। সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের পর একে একে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি বাছেদ। স্ত্রী পুতুল চৌধুরীর বিশ্বাস তার স্বামী এখনো জীবিত আছেন। পুরান ঢাকার ইসলামপুরে কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন তিনি।

পুতুল চৌধুরী জানান, নিখোঁজ হওয়ার সময় বাছেদের ৩টি মোবাইল ফোন নম্বরের মধ্যে বাংলালিংক ও এয়ারটেল নম্বর দুটি বন্ধ রয়েছে। তবে গেল বছরের শুরুতে হঠাৎ করেই সক্রিয় হয়ে ওঠে বাছেদের ব্যবহৃত রবি নম্বরটি। পরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তখন নম্বরটি ব্যবহার করছিল এক নারী। যার অবস্থান ছিল চট্টগ্রামে। বিষয়টি র‌্যাব-১১ এর তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছিল। এছাড়া একই বছরে বাছেদের ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্টও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল।

জানা গেছে, মামলার পর ওই বছরের ১৭ মার্চ দুইটি মোবাইল নম্বর থেকে বাছেদের মুক্তির জন্য ৫ লাখ টাকা পণ দাবি করা হয়। বাছেদ তখন নজরুলের জিম্মায় বলে জানানো হয়। বাছেদের বাড়ির অদূরে সাদ্দাম মার্কেট এলাকার বাসিন্দা নজরুল। একটি মোবাইল ফোন বিক্রি নিয়ে নজরুল বাছেদের বিরোধ হয়। বাছেদের সঙ্গে বিরোধ ছিল মামাতো ভাই খোকনেরও। ৬ মার্চ বাছেদ ধারের ১৫ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় খোকনের সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে খোকন বাছেদকে প্রান নাশের হুমকি দেন। হুমকির ৭ দিনের মাথায় বাছেদ অপহৃত হন। বাছেদ অপহরণের পর পুলিশ নজরুল, তার স্ত্রী আয়েশা ও শ্যালিকা লাকিকে গ্রেফতার করে। লাকিই নজরুলের কথায় বাছেদের পরিবারকে ফোন করে মুক্তিপণ চেয়েছিল। পরে এ তিনজনই জামিনে মুক্তি পায়। নজরুল জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান। মামলার বাদী নিখোঁজ বাছেদের বাবা অহিদুল আলম ২০১৪ সালের ৯ জুলাই মারা যান। এরপর থেকে কার্যত মামলার অগ্রগতি থমকে গেছে। বাছেদ বেঁচে আছেন, তিনি শীঘ্রই ফিরে আসবেন- এমন আশায় বুক বেঁধে আছেন দুই সন্তানের জননী পুতুল চৌধুরী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১১ এর এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, বাছেদ আলম হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। বাছেদের মোবাইল এবং ফেসবুক সক্রিয় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী পুতুল চৌধুরী। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তবে গতকাল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়