নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মোশাররফ রুবেল নিয়মিত জাতীয় দলে সুযোগ পান না। দলের হয়ে শেষ খেলেছেন ২০১৬ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। জীবনের ৩৭ বসন্ত পেরিয়ে আসা রুবেলের পক্ষে জাতীয় দলে পুনরায় ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আসন্ন ২০১৯ বিশ্বকাপে ফেরার সুযোগ থাকলেও সেটিও এখন হচ্ছে না।
গত সপ্তাহে ব্রেইন টিউমার ধরা পরে তার। চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর যাবেন। কিন্ত এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মোটা অঙ্কের টাকা। যেটি একা বহন করা সম্ভব না তার পক্ষে। এক সময় জাতীয় দলে খেলা এই ক্রিকেটারের পাশে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দাঁড়াবে কিনা সেটা নিয়ে ছিলো প্রশ্ন। কিন্তুর এই প্রশ্নের জবাব বিসিবি প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বুধবার সাংবাদিকদের দিলেন, ‘আমরা মোশাররফ রুবেলের ব্রেইন টিউমারের বিষয়ে সম্যক অবগত ও তার রোগমুক্তিতে যারপরনাই আন্তরিক। বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন স্যার নিজে এ বিষয়ে আন্তরিক। রুবেলের চিকিৎসায় সম্ভাব্য সব রকমের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। যার অধীনে চলবে রুবেলের চিকিৎসা, সেই মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বিসিবি প্রধান নিজেই কথা বলেছেন।’
সিইও আরো জানান, পাপন স্যার নিজেও সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চেকআপের জন্য যান মাঝে মধ্যে। তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে যেচেই কথা বলেছেন।
সিইও আশ্বস্ত করেছেন, বোর্ড মোশাররফ রুবেলের পাশে আছে, থাকবে। তিনি বলেন, ‘রুবেল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন নিজ উদ্যোগেই। আমরা তার পাশে আছি ও থাকবো।’
সিইওর কথায় পরিষ্কার ইঙ্গিত মোশাররফ রুবেলের চিকিৎসার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হয়তো বোর্ড বহন করবে। তবে এটা পরিষ্কার রুবেলের চিকিৎসার সমুদয় দায়-দায়িত্ব বোর্ড নিচ্ছে না। তারা ধরেই নিয়েছে রুবেল নিজ উদ্যোগেই সিঙ্গাপুর যাচ্ছে। একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মানবিক দিক থেকেই রুবেলের পাশে থাকবে বোর্ড।
সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী যে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুবেল বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১০টায় সিইও সুজন (নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন) ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে জানান সিঙ্গাপুর গিয়ে আমার চিকিৎসা শুরু করাতে। বোর্ড বিষয়টা দেখবে। বোর্ড এ বিষয়ে পুরোপুরি সচেতন এবং বোর্ডের যা করণীয় তা তারা করবে।’
আপনার মতামত লিখুন :