শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরসিবিসির মামলা সময়ক্ষেপণের কৌশল: বাংলাদেশ ব্যাংক

মারুফুল আলম : ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মানহানি মামলাকে সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাদের ওই মামলা নিয়ে আমরা মোটেও উদ্বিগ্ন নই। টাকা উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য আরসিবিসির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা হওয়ার পর নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, ফিলিপিন্স সরকারসহ বিভিন্ন মহল থেকে আরসিবিসিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই চাপের কারণে আক্রোশের বশে এবং সময়ক্ষেপণের চেষ্টায় তারা এখন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বিডিনিউজ ২৪।

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে তিন বছর আগে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের আশায় গত ২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তার জবাবে আরসিবিসি মানহানির অভিযোগ এনে গত ৬ মার্চ ফিলিপিন্সের সিভিল কোর্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে পাল্টা একটি মামলা করে।

ফিলিপিন্সের ব্যাংকটি বলছে, তাদের কোম্পানির সুনাম ও ভাবমূর্তির ওপর বার বার ‘অশুভ আক্রমণ’ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি পেসো (১৯ লাখ ডলার) দাবি করা হয়েছে মামলায়। এক বিবৃতিতে আরসিবিসি বলেছে, টাকা আদায় করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিরাট এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, সেজন্য তারা আরসিবিসির সুনাম ক্ষুণ্ন করতে, ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু যে টাকার জন্য এটা তারা করছে, তা কখনোই আরসিবিসির কাছে ছিলো না, ওই টাকার দায়ও আরসিবিসির নয়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয়।

ওই টাকা জমা হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজল কমার্সিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে। অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে তা চলে যায় জুয়ার টেবিলে। ওই অর্থ উদ্ধারের আশায় গত ২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, রিজার্ভের অর্থ চুরির কাজে ‘অজ্ঞাতনামা উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের’ সহায়তা নেয় আসামিরা।

‘নেস্টেগ’ ও ‘ম্যাকট্রাক’ এর মত ম্যালওয়্যার পাঠিয়ে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট নেটওয়ার্কে ঢোকার জন্য পথ বের করে। পরে নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়া হয় নিউ ইয়র্ক ও ফিলিপিন্সে আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে।

এজাহারে বলা হয়, ওই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি এবং এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর এবং পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়গুলো ঘটতে দিয়েছেন। গভর্নর ফজলে কবির সে সময় বলেছিলেন, চুরি যাওয়া টাকা ফিলিপিন্সের কোথায় আছে, তা তাদের জানা আছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আসামি করেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কৌঁসুলি আজমালুল হোসেন কিউসি গত ৪ মার্চ জানান, ফিলিপিন্সের বিবাদীদের সঙ্গে সমঝোতা করে অর্থ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চালাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, আইনজীবীসহ তাদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য ইতোমধ্যে ফিলিপিন্সে অবস্থান করছেন। বুধবার তাদের আরসিবিসির সঙ্গে বসার কথা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়