মঈন মোশাররফ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ডাকসু নির্বাচনে কুয়েত মৈত্রী হলে অনিয়মের চেষ্টা করা হলেও তা রুখে দেয়া হয়েছে। ছাত্রীরা প্রতিবাদ করেছেন। তারা প্রতিবাদের মাধ্যমে অনিয়ম ঠেকিয়ে দিয়েছেন, যা একটা আশার দিক। এখনও তরুণদের প্রতিবাদের ভাষা ও শক্তি শেষ হয়ে যায়নি।
মঙ্গলবার ডয়চে ভেলেকে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম না হলে ছাত্রলীগ কোনো পদেই জয়ী হতোনা। স্বতন্ত্র বা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রার্থীরাই জয়ী হতো। তারপরও তারা ভিপিসহ হলগুলোতে বিশেষ করে ছাত্রী হলে অনেক পদে জয়ী হয়েছে। এর কারণ ছাত্রলীগের প্রতি অনাস্থা। আর সার্বিকভাবে তারা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ছাত্রী হলগুলোর প্রশাসন যতটা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছাত্র হলগুলোতে সেরকম নয়। যদি ছাত্র হলগুলো প্রশাসন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতো তাহলে ডাকসু নির্বাচনের ফল ভিন্ন হতো।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রী হলগুলোতে হল প্রশাসন রাজনৈতিক প্রভাবে চলেনা। তাই সবগুলো ছাত্রী হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা জয়ী হয়েছেন। সেখানে তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। ছাত্র হলগুলোতে প্রশাসন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হলে নির্বাচনের ফল হয়ত অন্যরকম হতো।
আপনার মতামত লিখুন :