শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০২:৫১ রাত
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ০২:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাণিজ্য মহাসড়ক পরিকল্পনার আওতায় যুদ্ধ শেষে সিরিয়ায় বিপুল বিনিয়োগ করবে চীন

নূর মাজিদ : বিগত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় নিজের অর্থনৈতিক অবস্থান জোরদার করছে চীন। বাড়িয়ে চলেছে বিনিয়োগ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়া মাত্রই দেশটিতে আরো বেশি চীনা বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। দেশটিতে আইএস জঙ্গিদের সাম্প্রতিক স¤পূর্ণ পরাজয়ের মধ্য দিয়ে যে শান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তা স্থায়ী হলে, শি জিনপিংয়ের বানিজ্য মহাসড়ক পরিকল্পনার আওতায় সিরিয়া বিপুল চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। চায়না ডায়ালগ, দ্য ডিপ্লোম্যাট

সিরিয় সংঘাতে শুরু থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নেয় চীন। যার ধারাবাহিকতায় যুদ্ধবিদ্ধস্ত সিরিয়ায় চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্যবসায়িক বলয় বিস্তার করেছে। যদিও এতদিন সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিবেশে চীন কোন বড় বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়নি। তবে গত বছর থেকেই চীন সিরিয়াকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কারণ, যুদ্ধে আসাদের জয় এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে অনেকটাই পরিস্কার। অন্তত চীনও এমনটাই আশা করছে।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে চায়না-আরব কো-অপারেশন ফোরামে তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এই ফোরামে চীন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ৩শ’ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয়। যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সিরিয়ায় বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায় দ্য ডিপ্লোম্যাট। দৈনিকটি জানায়, ইতোপূর্বে মধ্যপ্রাচ্যের তেল এবং গ্যাস সমৃদ্ধ দেশগুলোতেই বিনিয়োগ করার ব্যাপারে এগিয়েছে চীন। সেই আগ্রহ এবার সিরিয়া এবং লেবাননের দিকে সম্প্রসারিত হচ্ছে। কারণ, সিরিয়াকে কেন্দ্র করে চীন, মধ্য এশিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকাকে সংযুক্ত করা সম্ভব। যা শি জিনপিং-এর বিআরআই বা বানিজ্য মহাসড়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। সিরিয়ার বন্দরগুলোতে রুশ বিমান ও নৌবাহিনীর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। যার সঙ্গে চীন যুক্ত হলে ভূমধ্যসাগরে চীনের নৌবাহিনীর উপস্থিতি অনেকটাই নিস্কন্টক হয়। অন্যদিকে, পশ্চিমা শক্তিদ্বারা সমর্থিত মিশরের সিসি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা সুয়েজ খাল এড়িয়েই সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দর দিয়ে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে নিজের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা চীনের জন্য সহজ হবে।

সিরিয়ার প্রতিবেশী লেবাননেও চীন বিনিয়োগ করছে। কারণ দেশটির নীতিনির্ধারকদের কাছে এখন লেভান্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব আরো বেড়েছে। লেবাননের ত্রিপলি বন্দরে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে চায় চীন। সিরিয়ার হোমস নগরীর সঙ্গে এক রেলপথের মাধ্যমে একে যুক্ত করা হবে। ফলে, সেখানে স্থাপিত চীনা শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদিত পন্য ইউরোপে রপ্তানির খরচও কমবে। ইতোমধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বানিজ্যযুদ্ধ নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে চীন। তাই ভবিষ্যতে ইউরোপের সঙ্গে কোন বানিজ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার পরিবর্তে চীন মহাদেশটির সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরো উন্নত করতে চাইছে। এই সকল কারণেই সিরিয়া এখন চীনের মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের কৌশলের মধ্যমণি হয়ে উঠেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়